বোমা ফাটালেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে বিরাট দাবি করে শোরগোল ফেলে দিলেন মহাগুরু। দাবি করলেন, তৃণমূলের ৩৮ জন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁদের মধ্যে ২১ জন মিঠুনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। জাত গোখরো বলে নিজেকে দাবি করা মিঠুনের ব্রেকিং নিউজে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
বুধবার রাজ্য বিজেপির দফতরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মিঠুন। তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, চব্বিশে বিজেপি আসবে না, আসবে না, আসবে না। কোন অঙ্ক, কী ভাবে তা তিনি জানেন না। তবে এটুকু বলেছেন, ২০২৪ এ বিজেপি আসবে না কেন্দ্রে ক্ষমতায়। এরপরই বিস্ফোরণ ঘটান মিঠুন। বলেন, "১৮টা (সাংসদ) আমাদের হাতে আছে। আরও চারটে হামাগুড়ি দিচ্ছে। আপনাদের একটা ব্রেকিং নিউজ দিই, এই মুহর্তে দাঁড়িয়ে বলছি, তৃণমূলের ৩৮ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্কে আছে। তাঁর মধ্যে ২১ জন আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।"
মিঠুনের মুখে অপারেশন লোটাসের ইঙ্গিতে শোরগোল বাংলার রাজনীতিতে। তিনি দাবি করেছেন, কবে কী হয়ে যায় বলা যায় না। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম, শিবসেনা আবার বিজেপির সঙ্গে। তাই কখন কী হয় বলা যায় না। এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে ২০২৪ মমতার সরকার পড়ে যাবে? উত্তরে ফিল্মি কায়দায় মিঠুন বলেন, "আমরা যখন ছবি বানাই, আগে মিউজিক করি, মিউডিক রিলিজ করি তার পর ট্রেলার রিলিজ করি। আজকে মিউজিক রিলিজ করলাম। ট্রেলার অভি বাকি হ্যায়।"
আরও পড়ুন ‘চব্বিশে বিজেপি আসবে না-আসবে না-আসবে না-জ্যোতিষীরাও বলছেন’, দাবি মমতার
যদিও বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে মিঠুনের এই দাবিতে কতটা ওজন আছে, আর তা হজম করতে অনেক বিজেপি কর্মীরই সমস্যা হওয়ার কথা। এক তৃণমূল মুখপাত্র কটাক্ষ করেছিলেন, এনকে সলিল মিঠুনের মাথায় বসে গিয়েছেন। তাই কথায় কথায় সিনেমার সংলাপ বলেন চারটি জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা।
গত একুশের নির্বাচনের পর এক বছর দু মাস পার হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল ভাঙা তো দূরের কথা, বিজেপি ভেঙেই চলেছে। ৭৭ আসন থেকে কমে ৭০ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় তৃণমূলের তিন ডজনের বেশি বিধায়ক ভাঙানো কতটা সম্ভব তা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন রয়েছে।
মিঠুনের দাবি প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন বলেছেন, 'ওনার শারীরিক অসুস্থতা এখনও সম্পূর্ণ সেরে ওঠেনি। আজকে মিঠুন চক্রবর্তীর দাবি শুনে সেটাই মনে হচ্ছে। মমতাদির হাত ধরেই ওনার সম্ভবত প্রথম ও শেষ সাংসদ হওয়া। ছেড়ে দিয়ে এখন আফসোস করছেন তিনি। তাই অযৌক্তিক সব দাবি করছেন।'