Mod's Big Announcement For West Bengal: মঙ্গলবার রেখা পাত্র পর বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়ের সহ্গে ফোন কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলায় বিপুল দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন অমৃতাদেবী। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ থেকে স্কুলে ভর্তি নিয়ে কী ধরনের দুর্নীতি হয়েছে তা বর্ণনা করেন। যার প্রত্যুত্তরে বিভিন্ন দুর্নীতিতে বাংলার অসংখ্য 'প্রতারিত'দের বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানান, একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। যা সাধারণ মানুষের টাকা। মোদীর আশ্বাস, তিনি ও তাঁর সরকার আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন যাতে গরিব 'প্রতারিত'দের ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া যায়।
কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়কে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কথোপকথনে বাংলায় দুর্নীতির বিষয়টি রাজমাতা তুলে ধরতেই ফোনের ওপার থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অমৃতাজি আমি আপনাকে একটা কথা বলি। আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। বাংলায় ইডির লোকেরা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। আর এই টাকা গরিব মানুষের টাকা। কেউ স্কুল শিক্ষক হওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন, কেউ ক্লার্ক হওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন।'
পাল্টা প্রধানমন্ত্রীর কথা শেষের আগেই কৃষ্ণগরের বিজেপি প্রার্থী বলেন, 'হ্যাঁ এ সব আমরা জানি। এখানে তৃণমূলের উপর অনেকেই অখুশি।'
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: মমতার বাপ তুলে কুরুচিকর মন্তব্য! ভাঙলেও মচকাচ্ছেন না দিলীপ ঘোষ
তখন প্রধানমন্ত্রী বলতে থাকেন, 'আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। এই যে তিন হাজার কোটি টাকা যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেগুলো আমি গরিব এবং বঞ্চিতদের মধ্যেই বিতরণ করতে চাই।'
রাজমাতাকে মোদীর পরামর্শ, 'আপনি এটা বাংলায় প্রচার করুন। বলুন ইডি যে টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তা গরিবের টাকা। এই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনও না কোনও রাস্তা বের করবেন।'
বিজেপি প্রার্থীকে ফোনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'এক দিকে বিজেপি দেশে দুর্নীতিকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্য দিকে, সমস্ত দুর্নীতিবাজ একে অপরকে বাঁচাতে এক হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেবে।'
মহুয়া মৈত্রকে নিয়েও ভবিষ্যৎ নিয়েও এ দিন রাজমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কথা হয়। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী বলেন, 'আমি মানুষকে জিজ্ঞেস করি, মহুয়া মৈত্রের কী হবে? লোকে বলে, ওকে তো জেলেই যেতে হবে।' এ কথা শুনে হেসে ফেলেন নরেন্দ্র মোদী। হাসতে হাসতে বলেন, 'আচ্ছা, লোকে বলে এ কথা?'
প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে কৃষ্ণনগর রাজমাতা অভিযোগ করে বলেন, 'আমাদের পরিবারকে নিয়েও অপপ্রচার করছে ওরা। রাজপরিবারের ইতিহাস বিকৃত ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। আমাদের গদ্দার বলে প্রচার করছে। আমরা এত দানধ্যান করেছি। সনাতন হিন্দু ধর্ম রক্ষা করার চেষ্টা করেছি, তাও…।' গোটাটাই রাজনীতির জন্য করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।