Advertisment

আপাতত শান্ত মোমিনপুর, অস্বস্তিতে স্থানীয়রা, চারদিকে জঞ্জাল, এলাকা যেন সাদা উর্দিধারীদের দুর্গ

মঙ্গলে সরেজমিনে মোমিনপুর ঘুরে দেখল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।

author-image
Joyprakash Das
New Update
Mominpur is quiet for now, the whole area is like a police fortress

এখনও থমথমে মোমিনপুর। গোটা এলাকাকে যেন দুর্গ বানিয়েছে পুলিশ। ছবি: শশী ঘোষ।

শুনশান রাস্তা। দোকান-পাট বন্ধ। আবর্জনার স্তুপ। মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডে ভূকৈলাশ ঢোকার আগে রাস্তা পুলিশের গার্ডরেল দিয়ে আটকানো। ওই রাস্তায় সাধারণ গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। তাবড় পুলিশ আধিকারিকরা ঠায় চেয়ার পেতে বসে রয়েছেন রাস্তায়। তবে ১৪৪ ধারার ফলে সাধারণ মানুষ বিস্তর অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। এদিকে এলাকায় আবর্জনার স্তুপ হতে শুরু করেছে। আবর্জনা সরানোর কাজ বন্ধ রেখেছেন সাফাই কর্মীরা। আপাতত সর্বত্র ইট-পাটকেল ছাড়ানো রয়েছে। গোষ্ঠী সংঘর্ষের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন স্থানীয়রা।

Advertisment

গত শনিবার রাত থেকে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোড। রবিবারও উত্তেজনা ছিল। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক ওই দিনের ঘটনায় জখম হয়েছেন। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে দরবার করেছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। আপাতত এলকায় নতুন করে কোনও গন্ডগোলের খবর মেলেনি।

publive-image
শুনশান এলাকা। রাস্তায় পুলিশের গাড়ির টহল। ছবি: শশী ঘোষ।

মঙ্গলবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বড় রাস্তার দুদিকে পুলিশ পিকেট রয়েছে। রাস্তায় সারি সারি পুলিশের গাড়ি। বিশাল পুলিশ বাহিনী রয়েছে সেখানে। এখনও দুদিন আগের গন্ডগোলের চিহ্ন রয়ে গিয়েছে বাড়িগুলোর সামনে। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। পরিচয়পত্র দেখতে চাইছে পুলিশ। বাইক নিয়েও ভিতরে প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থলে বাইরের কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

আরও পড়ুন- বিজেপি নেতার বাড়িতে সুদীপের সঙ্গেই শুভেন্দু-কল্যাণ! তাপসের নিশানায় তৃণমূলে শোরগোল

ময়ুরভঞ্জ রোড-সহ আশপাশের এলাকায় সর্বত্র প্লাস্টিক, নোংরা, আবর্জনা পড়ে রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, তিন দিন ধরে তা পরিস্কার বন্ধ রেখেছে সাফাই কর্মীরা। কবে থেকে সাফাই শুরু হবে তা জানা যায়নি। স্থানীয়দের দাবি, প্রথমেই পদক্ষেপ করলে এত বড় ঘটনা এড়ানো যেত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এখন আমরা পড়েছি সব থেকে মুশকিলে। এলাকায় দোকান-পাট বন্ধ। ঘরের দড়জা খুলতেই অস্বস্তি। দূরের দোকান যেতে বাড়ি থেকে অনেকটা দূরত্ব হাটতে হচ্ছে। তাছাড়া এলাকায় পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। সাধারণ ভাবে চলাফেরা করাই দায়। সাধারণ মানুষ কখনও ঝঞ্জাট চায় না। এসবই চক্রান্ত।

kolkata police kolkata news Violence
Advertisment