আরও চওড়া অ্যাডিনোভাইরাসের থাবা। ফের কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মারণ ভাইরাস প্রাণ কাড়ল দুই একরত্তির। অ্যাডিনোভাইরাসের ভয়াল সংক্রমণে এক কথায় মৃত্যু মিছিল বঙ্গে। শহর থেকে জেলা ক্রমশ ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে ভাইরাস। রবিবার সকালে বিসি রায় হাসপাতালে মেটিয়াবুরুজ ও মিনাখাঁর দুটি শিশুর মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
দিন যত এগোচ্ছে ততই ভয়াল রূপ নিচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস। লাগাতার শিশু-মৃত্যুতে ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। রবিবার সকালে কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত ৯ দিনে শুধু কলকাতা শহরেই ৩৬টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে গত রবিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল মেটিয়াবুরুজের বছর দেড়েকের ওই শিশুটিকে।
আরও পড়ুন- Adenovirus: পরপর শিশু মৃত্যুতে মাত্রাছাড়া উদ্বেগ! আতঙ্ক এড়িয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ জানুন
টানা কয়েকদিনের চিকিৎসাতেও শারীরিক পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি তাঁর। রবিবার সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর বাসিন্দা মাস চারেকের আরও একটি শিশুকে দিন ছ'য়েক আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই শিশুটিরও জ্বর-সর্দির সমস্যা ছিল। টানা চিকিৎসাতেও উন্নতি হয়নি তারও। শেষমেশ আজ ভোররাতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- দস্যু রত্নাকরের বাল্মিকী হয়ে ওঠার গল্প, ধুনকভাঙা পণে বাঁচার লড়াই বাহাত্তরের ‘তরুণের’
বিসি রায় শিশু হাসপাতালের বাইরের ছবিটা বেশ করুণ। শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই জেলাগুলি থেকেও একরত্তি শিশুদের সঙ্গে নিয়ে প্রবল উৎকণ্ঠায় হাসপাতালে ছুটে আসতে দেখা যাচ্ছে বাবা-মায়েদের। শিশুদের জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ কমার লক্ষ্মণই নেই। বরং যত দিন যাচ্ছে আশঙ্কার কালো মেঘ ততই গাঢ় হচ্ছে। শুধু কলকাতা শহরেই নয়, জেলার হাসপাতালগুলিতেও জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শিশুদের ভিড় লেগেই রয়েছে।
আরও পড়ুন- ঝাঁঝালো রোদে এমাসেই তাপপ্রবাহের আশঙ্কা! ‘হট’ লিস্টে কোন কোন জেলা?