টাকার পাহাড় শিবপুরেও। হাওড়ার শিবপুরে আবাসনের গ্যারাজ ও ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৮ কোটিরও বেশি। লালবাজারে গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে এখনও বেপাত্তা পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শৈলেশ পাণ্ডে ও তাঁর ভাই। বিপুল পরিমাণ এই টাকার উৎস জানতে মরিয়া লালবাজারের গোয়েন্দারা।
আপাতত শৈলেশ ও তাঁর ভাইয়ের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। উল্লেখ্য, একটি ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতেই শৈলেশ পাণ্ডেদের আবাসনে হানা দেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই এই ব্যাঙ্কে শৈলেশ পাণ্ডেদের অ্যাকউন্টে 'অস্বাভাবিক' লেনদেন নজরে আসে আধিকারিকদের।
হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ এই লেনদেন নিয়েই বিস্মিত হন ব্যাঙ্কের কর্তারা। জানা গিয়েছে, বিপুল অঙ্কের লেনেদেনের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে ব্য়াঙ্কের তরফেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল অ্যাকাউন্ট মালিকদের। এমনকী তাঁরা ব্যাঙ্কে এসেওছিলেন। তবে তাঁদের বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এর পরেই ওই ব্যাঙ্কের তরফে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য ব্যাঙ্কের তরফে দেওয়া হয় পুলিশকে। তারপরেই তদন্ত শুরু করে লালবাজার।
আরও পড়ুন- ‘নির্দোষকে ফাঁসানোর চেষ্টা হলে আগুন জ্বলবে’, বিজেপিকে চরম হুঁশিয়ারি মদনের
হাওড়ার শিবপুরে পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্ট শৈলেশ পাণ্ডের আবাসনের গ্যারাজে হানা দেয় পুলিশ। ওই আবাসনের গ্যারাজে রাখা একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ২ কোটি টাকার বশি। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ সোনার গয়না ও হীরে বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়াও শিবপুরের অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের আরও একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়েও নগদ প্রায় ৬ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ফ্ল্যাটটিও শৈলেশ পাণ্ডের বলেই জানা গিয়েছে।