মুকুল রায় হঠাৎ কেন দিল্লি গেলেন? এই নিয়ে গতকাল রাত থেকেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। সেখানে গিয়ে কারও সঙ্গে দেখা করবেন কিনা তা নিয়েও জোর সংশয় তৈরি হয়েছে। প্রথমে এয়ারপোর্ট থেকে মুকুল রায় নিখোঁজ বলেই রটে যায়। মুকুলের দিল্লি যাওয়ার ফ্লাইটের টিকিটও রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
Advertisment
তৃণমূল কংগ্রেসে এই মুহূর্তে কোনও ভূমিকাতেই দেখা যায় না একদা দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে। তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সল্টলেকের বাড়িতে যান। সেখানে সারা দিন কাটিয়ে ফের বিকেলে কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে ফেরেন। দুপুরের আহারও করেন সল্টলেকের বাড়িতে। পুরুলিয়ার যুবক ভগীরথ তাঁর রান্না করে দেন বলে খবর। কেউ সেখানে এলে মুকুল সাক্ষাৎ করেন। তবে সেভাবে তৃণমূলের নেতৃত্ব স্থানীয়রা কেউ আর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান না বলেই খবর।
সোমবার সন্ধ্যার পর হঠাৎই রটে যায় কলকাতা বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে। অসুস্থ মুকুল রায়ের এই ঘর থেকে চলে যাওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়ায় পারিবারিক কোনও কারণে তিনি কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে ফেরেননি। যদিও মুকুলপুত্র শুভ্রাংশুর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রাতের দিকে মুকুল রায়কে দিল্লি বিমানবন্দরে দেখা য়ায়। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন গাড়ির চালক ও ভগীরথ। কোন উদ্দেশ্যে তিনি দিল্লি গেলেন তা নিয়ে তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে দিল্লিতে মুকুল রায় বলেছেন, তিনি সাংসদ দিল্লি আসতেই পারেন। এর আগে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, যা বিজেপি তাই তৃণমূল। মুকুল রায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থাকাকালীন দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কৃষ্ণনগরের বিধায়ক হলেও ফিরে যান তৃণমূলে। তবে এখন দলে তাঁর কোনও ক্ষমতাই নেই।
সূত্রের খবর, দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে কোনও বার্তাও দিয়েছেন। তবে কি বলেছেন তা স্পষ্ট নয়। চিকিৎসার কারণেও দিল্লি যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তিনি দিল্লি গিয়েছেন, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন, নাকি শুধুই মান-অভিমান করে বাড়ি না গিয়ে দিল্লি চলে গিয়েছেন, এটাই এখন চর্চার বিষয়।