বন্ধুপ্রকাশ পাল খুনের দিন পিছনের দরজা দিয়ে যে ব্যক্তিকে পালাতে দেখেছিলেন, তিনি উৎপল বেহেরাই, লালবাগ উপ সংশোধনাগারে টিআই (টেস্ট আইডেনটিফিকেশন) প্যারেডে এসে এ কথাই জানালেন বন্ধুপ্রকাশের বাড়িতে দুধ বিক্রেতা রাজীব দাস। লালবাগ উপ সংশোধনাগারে অন্যান্য কয়েদিদের মধ্যে থেকে উৎপল বেহেরাকেই সোমবার সনাক্ত করেন রাজীব।
টিআই প্যারেডে উৎপল বেহেরাকে সনাক্ত করলেন বন্ধুপ্রকাশ পালের বাড়ির দুধবিক্রেতা। অলঙ্করণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
আরও পড়ুন- জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের হাড়হিম করা নীল নকশা: অর্ডার দেওয়া চপার দিয়ে নিপুণভাবে খুন, গামছায় মোছা রক্ত!
সূত্রের খবর, এদিন টিআই প্যারেডের তদারকি করেন লালবাগের ম্যাজিস্ট্রেট। দ্বিতীয়বারের জন্য গোপন জবানবন্দি নিতে লালবাগ মহকুমা আদালতে উৎপলকে হাজির করানো হলেও সেখানে সে হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে অসহযোগিতা করতে শুরু করেন বলে খবর। এরপরই উৎপলের জবানবন্দির আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। লালবাগ মহকুমা আদালতের বিচারক সুপর্ণা রায়ের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় উৎপলের। যদিও এই ব্যাপারে পুলিশের তরফে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি।
লালবাগ উপ সংশোধনাগারে টিআই প্যারেডে উৎপলকে সনাক্ত করলেন রাজীব দাস। ছবি- পরাগ মজুমদার
আরও পড়ুন- জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড: পরিকল্পনার নেপথ্যে উৎপলের সঙ্গী কি সৌভিক? তদন্তে পুলিশ
প্রসঙ্গত, জিয়াগঞ্জ থানার লেবুবাগ এলাকায় দুর্গা পুজোর দশমীর দুপুরে সপরিবারে খুন হন পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। ওই ঘটনার সাত দিন পর ১৫ অক্টোবর পুলিশ গ্রেফতার করে সাগরদীঘি থানার সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা উৎপল বেহারাকে। পরে তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক উৎপল বেহেরাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
তবে আদালতে উৎপলকে তোলা হলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে, সেই কথা ভেবে পুলিশ অত্যন্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করে সন্ধ্যায় তাঁকে আদালতে পেশ করে। নিয়ম মেনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় উৎপলের গোপন জবানবন্দী নেয় বিচারক মহম্মদ তারিফ ফিরদৌস। তবে উৎপল গোপন জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে টিআই প্যারেডে আনা হয়। দুধ বিক্রেতা রাজীব দাস ও মৃত শিক্ষকের বাড়ির পরিচারিকা সুনিতা সরকারের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক। সোমবার টিআই প্যারেড এর ব্যাপারে রাজীব দাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে এই ব্যাপারে তিনি মুখ খুলতে চাননি। রাজীব দাস বলেন, "যা বলার আদালতকে বলেছি"।