ফের জেলায় গণধর্ষণ। এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ। নিগৃহীতা এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রী। লালগোলার এ ঘটনায় এখনও কেউ ধরা পড়েনি। যে মহকুমায় এ ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিগৃহীতা সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁর কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য জোগাড় করা হবে। দোষীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না।’’
এ ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। লালগোলা থানার পুলিশ বস্ত্রহীন অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে। তাকে প্রথমে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় গভীর রাতে তাকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন, ১৫ দিনের শিশুকন্যার মাটির নিচে পোঁতা মৃতদেহ উদ্ধার, বাবা-মা ফেরার
পুলিশ জানিয়েছে, লালগোলার ওই ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় এলাকার এক কৃষি খামারে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাইকে চাপায় তার পরিচিত এক ব্যক্তি। কিন্তু কৃষিখামারে না নিয়ে গিয়ে বাইক ছুটিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় রাজবাড়ির নির্জন আমবাগান এলাকায়। সে সময়ে গোটা এলাকা ছিল অন্ধকারে ঢাকা। নির্জন সেই স্থানে মূল অভিযুক্ত সহ আরও চার-পাঁচজন টেনে হিঁচড়ে ওই কিশোরীকে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে গণধর্ষণ করা হয় তাকে। এর পর কিশোরীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। সে সময়ে চিৎকার করতে করতে জঙ্গলের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে নিগৃহীতা। তার গলার আওয়াজ শুনে স্থানীয় বাসিন্দার জড়ো হন। থানার মহিলা পুলিশ এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক হাই মাদ্রাসার ছাত্রী ওই কিশোরী ছোটবেলা থেকেই পিতৃহীন। তার মা বিড়ি বেঁধে সংসার চালান। ওই কিশোরীর সঙ্গে কিছুদিন আগে থেকে এলাকার এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। ওই যুবকের এলাকায় কুখ্যাতি রয়েছে।
নিগৃহীতার কাকা জানিয়েছেন, “মেয়ের মা যখন পাশের বাড়িতে বিড়ি বাঁধতে ব্যস্ত সেই সময়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় ভাইঝিকে। অন্ধকার নামলে আমরা এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে পুলিশ আমাদের খোঁজ দেয়।”
এ ঘটনার পরে দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে সারা গ্রাম। তবে এ সবের আগে গ্রামের মেয়ের সুস্থতা চাইছেন তাঁরা।