রেশনে নিয়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বরাদ্দ রেশন মিলছে না বলেও গ্রাহকরা একাধিরকবার অভিযোগ করেছে। শনিবার সাধারণের বিক্ষোভ গণরোষে পরিনত হল। মুর্শিদাবাদের সালারে রেশন ডিলারের বাড়ির সামনে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ চলে। অভিযোগ, ওই ডিলারের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। বাড়ি ছেড়ে পিঠঠান দেয় ডিলারও। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরকারি নির্দেশিকা থাকা সত্বেও বরাদ্দের চেয়ে অনেক কম পরিমাণে রেশন ডিলাররা গ্রাহকদের খাদ্য পণ্য সরবরাহ করছে। এই অভিযোগে সালারে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পুনশ্রী গামে রেশন ডিলার হালিম শেখের বাড়ীর সামনে কাতারে কাতারে উত্তেজিত জনতা জড় হয়ে ক্ষোভ ফুটতে থাকে। সামাজিক দূরত্ব মাথায় ওঠে। উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকে। গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে রেশন ডিলারের বাড়িতে হামলা চালায় । অতিরিক্তি পুলিশ সুপার অনীশ সরকার বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ মাইকিং করে স্থানীয়দের ঘটনাস্থল ছাড়ার কথা বলে।
আরও পড়ুন- বাংলায় বিজেপি পার্টি অফিস থেকে উদ্ধার কয়েকশো কুইন্টাল রেশনের চাল, গ্রেফতার ২
স্থানীয়দের অভিযোগ, যে পরিমাণ রেশনের সামগ্রী পাওয়ার কথা ছিল, তা তাঁরা পাচ্ছেন না। রেশন ডিলার কম রেশন দিয়ে চলেছেন। অভিযোগ করেও ফল পাননি। সেই কারণেই এদিনের এই বিক্ষোভ। কার্যত লকডাউনের নিয়মকে থোরাই কেয়ার করে রেশন ডিলারের বাড়ির সামনে জমায়েত করে। এই বিক্ষোভে রীতিমতো নতুন করে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুলিশ-প্রশাসনের। আক্রমন থেকে বাঁচতে পরিবার-সহ অন্যত্র পালিয়ে যায় ওই রেশন ডিলার। এদিকে পুলিশ প্রথমে গ্রামে ঢুকতে গেলে ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে। এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার কে. শবরী রাজকুমার বলেন, "পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে"। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে হাজির হয়েছেন স্থানীয় ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকও। উল্লেখ্য এর আগে জলঙ্গীর ফরিদপুরে রেশন নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল স্থানীয়রা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন