এই ছেলে আজ গোটা জেলার গর্ব! মুর্শিদাবাদের সালারের কৃতী সন্তান মহম্মদ মামতাজুল হাসান যেন এক ইতিহাস রচনা করেছেন। মেধাবী এই ছাত্রের জন্য আজ গোটা মুর্শিদাবাদের বুক চওড়া। গর্বে আপ্লুত বাবা-মাও।
অদম্য ইচ্ছাশক্তি, কঠোর পরিশ্রম এবং দুরন্ত অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে এযেন অসাধ্য সাধন করেছেন মুর্শিদাবাদের সালারের মহম্মদ মামতাজুল হাসান। ছোট থেকে এই কৃতী লেখাপড়ায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। এই মেধাবী ছাত্রই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-য় একজন স্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পেয়েছেন। চলতি মাসের ৫ তারিখেই তাঁর কাছে এসে পৌঁছেছে অ্যাপয়নমেন্ট লেটার।
মামতাজুলের বাবা মহম্মদ আজগর আলি সালারের রেজিস্ট্রি অফিসে কপি রাইটার। ছেলের এমন সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত বাবা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহম্মদ আজগর আলি এদিন বলেন, "খবরটা শোনার পরেই চোখে জল এসে গিয়েছিল। পড়াশোনার প্রতি ওঁর নেশা ছোট থেকেই ছিল। আমরা সবাই সাধ্যমতো ওর পাশে থাকার চেষ্টা করে গিয়েছি। আগামীদিনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ও যেন এলাকার মানুষের জন্য কিছু কাজ করে। এটাই আমি চাইব।"
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update:'আর সহ্যের দিন নেই, এবার গুলির জবাব গুলিতেই', পাকিস্তানকে বেনজির হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর
মামতাজুল হাসানের মা একটি স্কুলের প্যারাটিচার। তিনিও ছেলের এই নজরকাড়া সাফল্যে আনন্দে উচ্ছ্বসিত। নিজের এই দুরন্ত সাফল্য প্রসঙ্গে মামতাজুল হাসান বলেন, "এটা কোনওদিন ভাবিনি। এই মাসের ৫ তারিখ আমি অ্যাপয়নয়মেন্ট লেটার পেয়েছি। অনুভূতিটি ঠিক কী তা মুখে বলে প্রকাশ করতে পারব না। পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। লক্ষ্য স্থির রেখে পরিশ্রম করলেই সফলতা আসবে। আমি প্রথমে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতাম। সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও বসতাম। অনেকগুলি সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়েছি। এটায় হয়ে গেল। আমিও যখন এই চাকরির কথা জানলানম, চোখে জ্বল এসে গিয়েছিল।"
আরও পড়ুন- Panchkula: একই পরিবারের ৭ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু, আত্মহত্যা নাকি খুন? তদন্তে পুলিশ