সোমবারই উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের শুভ দিনেই এই বাংলাতেও যেন অনন্য এক নজির তৈরি হল। তবে এমন ঘটনা এর আগেও রাজ্যের একাধিক প্রান্তে শোনা গিয়েছে। এবার ফের একবার এই ঘটনা যেন দৃষ্টান্ত তৈরি করল। ফের একবার অভূতপূর্ব একটি ঘটনার সাক্ষী রইল বাংলা। যে উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রত্যেকে।
এমন নজিরবিহীন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে এলাকাবাসীদের মুখেও।
অসামান্য সৌহার্দ্যের বিরল নজির খাস বাংলায়। গতকাল উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় (Ayodhya) ছিল রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন-অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) হাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার (Ram Lalla )। বিশেষ ওই দিনেই এই বাংলায় ঘটে গেল অভূতপূর্ব এক নজির।
Advertisment
রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনে সৌহার্দ্যের ছবি হুগলির (Hooghly) ডানকুনিতে (Dankuni)। ঐতিহাসিক দিনটিতে মানবতাই যে সবার ঊর্ধ্বে তার জ্বলন্ত প্রমাণ দিলেন আশরাফ, মামুদ আলি, করিমরা। ডানকুনির বাবলু সরকার আর্থিক অনটনের জেরে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন না।
বিবাহযোগ্য কন্যার বিয়ের কথা এগোলেও পিছিয়ে আসতে হচ্ছিল বারবার। পারিবারিক আর্থিক সংকটের জেরেও পাকা হয়েও বারবার ভেস্তে যাচ্ছিল বিয়ে। তবে দুঃস্থ পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এলাকার মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁদেরই ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আর্থিক সহযোগিতায় বাবলু সরকার মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করেছেন আশরাফ, মামুদ, করিমরা।
Advertisment
নববিবাহিত দম্পতির হাতে রামলালার ছবি তুলে দিয়েছেন এলাকার মুসলিম যুবকেরা।
সোমবারই ডানকুনির বাবলু সরকারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আশরফ, মামুদরা দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিলেন বাবলু সরকারের মেয়ে বন্দনার। গতকাল যেহেতু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান ছিল, তাই নবদম্পতিকে উপহার হিসেবে তাঁরা দিলেন সেই রামলালারই ছবি। ডানকুনিতে সম্প্রীতির অনন্য নজির সৃষ্টি তৈরি করলেন মামুদ, করিম, আশরফরা।
ডানকুনির সাঁতরা পাড়ার বন্দনা সরকারের বিয়ের যাবতীয় খরচ করেছেন স্থানীয় সমাজসেবী শেখ আশরাফ-সহ পরিবেশকর্মী শেখ মামুদ আলি ও করিমরা। গতকাল এলাকার হিন্দু যুবকদের একাংশ ব্যস্ত ছিলেন রাম বন্দনায়। সন্ধেয় রামের পুজো সেরে তাঁরা হাজির হয়েছিলেন বিয়েবাড়িতে। পাত পেড়ে ভোজ খেয়েছেন এলাকারই ছেলে নারায়ণ, জয়ন্তরাও। এলাকার মুসলিম ভাইদের এমন উদ্যোগে তাঁরা বেশ খুশি।