Lynching Case: সাম্প্রতিক সময়ে বারাসতে শুরু হওয়া ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনি ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের অন্যত্র। ঘটছে একের পর এক অহেতুক নিরীহ মানুষকে গণধোলাইয়ের ঘটনা। ছেলেধরা গুজবের পাশাপাশি রাজ্যে চোর সন্দেহেও চলছে গণপিটুনি। অবশেষে নবান্ন গণপিটুনি রোধে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে। জেলাগুলিকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। বুধবার এডিজি (আইন- শৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা জেলার পুলিশ সুপার, রেল পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার- সহ পদস্থ আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে এই নির্দেশিকা জারি করেছেন।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে গণপিটুনির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হাতে আইন তুলে নেওয়ার এই প্রবণতা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্যের প্রতিটি থানার পুলিশকে এব্যাপারে আরও সক্রিয় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশকেও বিষয়টির প্রতি নজর রাখতে বলা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনার পরিস্থিতি তৈরি হলে কালক্ষেপ না করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সমস্যাপ্রবণ এলাকায় বিশেষ করে নারী ও শিশুদের প্রতি বাড়তি নজরদারির কথাও বলা হয়েছে নির্দেশে।
গণপিটুনির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য ঘোষণা করেছে, গণপিটুনির ঘটনায় মৃতদের পরিবারের একজন সদস্যকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি এবং পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- Eastern Railway: রথযাত্রায় পুরী যাবেন? আর কোনও চিন্তা নেই! পর্যটকদের জন্য বাম্পার বন্দোবস্ত রেলের
একইসঙ্গে গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনি নিয়ে আরও একাধিক নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রয়োজনে স্থানীয় ক্লাবগুলিকে এই কাজে যুক্ত করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। গুজব বা ভুয়ো খবর ছড়ানো হলে দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে, কোনও কোনও চক্র পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রেও কড়া নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। শুধু স্থানীয় নয়, এই গুজব বা গণপিটুনির পিছনে আন্তঃরাজ্য চক্রের কোনও যোগ আছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিহার এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান করা হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।