তীব্র বিস্ফোরণে কাঁপল নৈহাটি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কাঁপল গঙ্গার ওপাড়ে হুগলির চুঁচুড়াও। সেখানে বাড়ির কাচ ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি বাড়ি। জানা যাচ্ছে, নৈহাটিতে গঙ্গার পাড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। গঙ্গার পাড়ে পুলিশ বাজি নিষ্ক্রিয় করছিল, সেকারণেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। জনবসতী এলাকায় কীভাবে বাজি নিষ্ক্রিয় করা হল, এ নিয়ে চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেন স্থানীয়রা। পুলিশের কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘একুশে বাংলায় বিজেপি ২০০, তৃণমূল ৫০টি আসনও পাবে না’
(ঘটনার সাম্প্রতিকতম ভিডিও: উত্তম দত্ত)
এদিন মমতা বলেন, ‘‘নৈহাটিতে জলের মধ্যে বাজি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল। কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রয়োজনীয় সাহায্য করব একটা কাজ করতে গিয়ে কারও ক্ষতি হয়ে থাকলে দেখব’’।
(ভিডিও: উত্তম দত্ত)
আরও পড়ুন: সিএএ বিরোধী বৈঠক বয়কট মমতার, দেখালেন ‘বিশেষ কারণ’
এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘‘এ ঘটনায় তদন্তের দরকার রয়েছে। বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে। আজকে বিস্ফোরণের তীব্রতায় একটা বাচ্চা মারা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানাব’’। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও নৈহাটিতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। সে ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন অর্জুন। কয়েকদিনের ব্যবধানে ফের নৈহাটিতে বিস্ফোরণের ঘটল। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণের তীব্রতা খুব বেশি ছিল।
নৈহাটির বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে মমতাকে বিঁধে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘বাজি ও বোমাকে এক করে দেখতে পুলিশকে বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ মামলা করল না, কারণ তৃণমূল নেতা জড়িত। কীভাবে অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে। তৃণমূল ও আরএসএসের মধ্যে কোনও তফাৎ নেই’’। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রশাসন তদন্ত করবে। কোনও ঘটনা ঘটলেই পুলিশকে বলা হয়। পুলিশে সবাই খারাপ তা নয়। তদন্ত করলে দেখা যাবে পুলিশের গাফিলতি ছিল কিনা। বাজি মজুত ছিল’’।