নৈহাটিতে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু হাসপাতালে। শনিবার গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর জাকির হোসেন নামে ওই ব্যক্তিকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রবিবার সকালে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তি তৃণমূলকর্মী বলেই দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করেছে ক্ষুব্ধ জনতা। এদিকে, নৈহাটির ঘটনায় শাসকদল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
শনিবার রাতে নৈহাটির শিবদাসপুরে তুমুল বোমাবাজি চলে। শুধু বোমাবাজিই নয়, কয়েকটি বাইকে দুষ্কৃতীরা এসে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। ঘটনাস্থলে থাকা জাকির হোসেন নামে ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পরেই চলে এলোপাথাড়ি গুলি। জাকিরের পেট বুক ও হাতে গুলি লাগে। বোমার আঘাতে জখম হন ইউসুফ মণ্ডল নামে আরও এক ব্যক্তি। দু'জনেই তাঁদের কর্মী বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিকে, জখম ব্যক্তিদের গতকাল রাতেই কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রাতেই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় জাকির হোসেনের। অন্যদিকে, ইউসুফের শরীরে বোমার আঘাত লেগেছিল। তবে তাঁর সেই আঘাত গুরুতর না হওয়ায় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও অস্ত্রোপচারের পরেও সংকটমুক্ত হননি জাকির। শেষমেশ রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিশেষ পরিষেবা রেলের, রাতভর ছুটবে লোকাল ট্রেন, জেনে নিন সময়সূচি
এদিকে, বোমাবাজি ও গুলি চালানোয় অভিযুক্তের বাড়িতে গতরাতেই ভাঙচুর শুরু করে এলাকাবাসী। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি বিবাদকে কেন্দ্র করেই এই হামলা। যদিও এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নৈহাটির এই ঘটনায় শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, ''সারা পশ্চিমবঙ্গে গুলি-বন্দুক চলছে। তৃণমূলের নেতারাই তৃণমূলকে মারছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে, কাটমানি নিয়ে হচ্ছে, সিন্ডিকেট নিয়ে হচ্ছে। এখন তো পাড়ায় পাড়ায় গুলি বন্দুক বোমাবাজি চলছে। সব দুষ্কৃতী তৃণমূলের নেতা হয়ে গিয়ে কাটমানি খাচ্ছে। পুলিশ তৃণমূলের লোক বলে গায়ে হাত দেয় না। প্রতিনিয়ত এমন চলছে। সাধারণ মানুষের জীবন ব্যতিবস্ত হয়ে পড়েছে।''
অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা রানা দাশগুপ্ত বলেন, ''দুষ্কৃতীরা যে দলেরই হোক শাস্তি চাই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় শান্তি স্থাপন করতে হবে। পুলিশ তদন্ত করছে। নিশ্চই অপরাধীরা গ্রেফতার হবে।''