Nandigram BJP Supporter Killed: দলের এক মহিলা সমর্থক খুনে হিংসার আগুন নন্দীগ্রামে। পরপর দোকানে ভাঙচুর-আগুন। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপর্যুপরি লাঠিচার্জ পুলিশের। নন্দীগ্রাম থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ গেরুয়া দলের। দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাসে শেষমেশ বিক্ষোভ ওঠে। নির্বাচনের ৩ দিন আগে এই নৃশংস খুনে নন্দীগ্রাম বেশ উত্তপ্ত।
নন্দীগ্রামের (Nandigram) সোনাচূড়া মনসাবাজারে গতকাল রাতে তৃণমূল-BJP-র মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সংঘর্ষে ৯ জন গুরুতর জখম হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই জখম রথিবালা আড়ি নামে এক মহিলা BJP কর্মীর মৃত্যু হয়। অন্য আর একজনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত বাকিরা নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন।
ভোটের আগে এই রাজনৈতিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের এই প্রান্তে। দফায় দফায় শুরু হয় বিক্ষোভ-অবরোধ। নন্দীগ্রাম থানার সামনে আজ সকাল থেকে থেকে বিক্ষোভ শুরু করে BJP। চলে পথ অবরোধ। পুলিশের সঙ্গে কথা হয় BJP নেতৃত্বের। পদ্ম শিবিরকে দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেয় পুলিশ। পরে বিজেপি নেতারা বিক্ষোভ অবরোধ তুলে নিতে আবেদন জানান কর্মীদের।
আরও পড়ুন- Bangladesh MP Murdered in Kolkata: কলকাতায় ‘খুন’ বাংলাদেশের সাংসদ, দেহের খোঁজে মরিয়া পুলিশ! রহস্য আরও গাঢ়
যদিও নেতাদের আবেদন কানে তোলেননি দলেরই একাংশের কর্মীরা। সোনাচূড়ার মনসাবাজারে পরপর বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেন তাঁরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। ঘণ্টা দু'য়েক ধরে এই পরিস্থিতি চলার পর বিশাল পুলিশবাহিনী যায় এলাকায়। লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হয় অবরোধকারীদের। পুলিশকর্মীরাই জল ঢেলে দোকানের আগুন নেভাতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন- Cyclone Remal Update: সাগরে দানা বাঁধছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, বাংলাতেই ল্যান্ডফলের প্রবল আশঙ্কা? একেবারে টাটকা আপডেট জানুন
এদিকে, নন্দীগ্রামের এই খুন নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা তথা এলাকার বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন বলেন, "মমতা ব্যানার্জির ভাইপোর উসকানিতে খুন হয়েছে। উনি গতকাল বলে গিয়েছিলেন সোনাচূড়া, গোকুলনগরের ৮০টি বুথে অনেকে ধমকাচ্ছেন, আমি তাদের সতর্ক করতে এসেছি, ফল ভালো হবে না। FIR-এ ওর পরিবার ওর নাম বলেছে।"
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, "যে এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে তৃণমূলের সংগঠনই নেই। BJP-র আদি ও নব্যের মধ্যে ঝামেলা। তারই জেরে এই ঘটনা। এর সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নেই। রাজনৈতিকভাবে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করতে BJP এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এলাকায়-এলাকায় বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, তৃণমূলের কর্মীদের মারধর করছে।"