Advertisment

নন্দীগ্রামে তৃণমূলের 'দুঃসময়', জোড়া-ফুলের মঞ্চে আগুন ঘিরে ধুন্ধুমার

এই কাজের নেপথ্যে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে বলে দাবি শাসক দলের নেতাদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
nandigram tmc mancho fire

অগ্নিদগ্ধ তৃণমূলের মঞ্চ, প্রতিবাদে পথ অবরোধ।

নন্দীগ্রামে উত্তেজনা। শহিদ দিবস উদযাপনের জন্য তৈরি গোকুলনগর করপল্লীর তৃণমূলের মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই কাজের নেপথ্যে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে বলে দাবি জোড়-ফুল নেতাদের। চলে পথ অবরোধ। বেলা বাড়তে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।

Advertisment

তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ওই মঞ্চের পাশেই রয়েছে বিজেপির মঞ্চ। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা ওই মঢ্চ তৈরি করেছে। সেই মঞ্চ অক্ষত থাকলেও পুড়ে গিয়েছে তৃণমূলের তৈরি মঞ্চ। অর্থাৎ, পরিকল্পিতভাবে দুষ্কৃতীরা শাসক দলের মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন জোড়-ফুল নেতারা।

নন্দীগ্রামের ব্লক তৃণমূল নেতা স্বদেশরঞ্জন দাস বলেছেন, 'স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহিদ স্মরণ মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। গ্রামবাসীরা জানতে পেরে ছুটে গেলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গ্রামের মানুষই জল ঢেলে আগুন নিভিয়ে দেয়।'

আরও পড়ুন- পুলিশের কামড়: জোড়াফুলে প্রবল অস্বস্তি, সাংসদ-বিধায়কের মন্তব্যে তৃণমূলে তুঙ্গে চর্চা

বিজেপের পক্ষ থেকে অবশ্য তৃণমূলের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দাবি, এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের।

বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে 'অপারেশন সূর্যোদয় বিরোধী' উদযাপন হয়েছে। গত দু'বছর ধরে তৃণমূল ও স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী পৃথকমঞ্চে তা পালন করেছেন। কিন্তু, ১০ নভেম্বরের অনুষ্ঠা ঘিরে শাসক দলে প্রবল অস্বস্তি দানা বাঁধে। কুণাল ঘোষের সামনেই শাসক ঘনিষ্ঠদের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান কার্যত তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল। তৃণমূলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়াকে মঞ্চে না তুলে কেন অন্য নেতা শেখ সুফিয়ানকে মঞ্চে তোলা হয়েছে, সেই প্রশ্নেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পীযূষ ঘনিষ্ঠরা। চলে কথাকাটাকাটি, ধস্তাধস্তি। এতে জখমও হন বেশ কয়েকজন। পরে বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন কুণাল ঘোষ। শেষে মঞ্চে উঠে বিক্ষোভকারীদের বিজেপির লোক বলে তোপ দাগেন তিনি।

tmc bjp nandigram
Advertisment