রাজ্যপালের প্রধান সচিব পদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হল আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তীকে। তাঁকে পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব পদের দায়িত্ব দেওয়া হল। বুধবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- মমতার তুরুপের তাস লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! ষাটোর্ধ্বদের জন্য বাজেটে বিরাট ঘোষণা
নন্দিনী চক্রবর্তীকে তাঁর প্রধানসচিব পদ থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নবান্নের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন খোদ সিভি আনন্দ বোস। তারপরই ওই আইএএসকে সরিয়ে দিল মমতা সরকার। তবে রাজ্যপালের প্রধান সচিব পদে কাকে বসানো হবে সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন- ব্যাঙ্কক-মালয়েশিয়া বেড়াবেন সরকারি কর্মীরা! DA-র সঙ্গে উপরি পাওনা?
রাজ্যপাল পদে সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়ে বঙ্গ বিজেপি প্রশ্ন তুলেছিল। রাজ্যপালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর তল্পি বাহক হয়ে কাজ করছেন বলেও তোপ দেগে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের প্রারম্ভিক ভাষণের পর সেই অভিযোগের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন- ৩ শতাংশ DA-তে খুশি নন, আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াবেন সরকারি কর্মীরা
এই আবহেই গত শনিবার সকালে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় দু'ঘন্টা বৈঠক করেন। এরপরই সেদিন সন্ধ্যায় একটি বিবৃতি জারি করা হয় রাজভবনের তরফে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা সহ নানা আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের আশঙ্কা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিলেন। যার পর স্বাভাবিকভাবেই রাজভবন-নবান্ন সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
আরও পড়ুন- West Bengal Budget 2023: রাজ্য সরকারি কর্মীরা আরও ৩ শতাংশ DA পাবেন
সেদিন থেকে শোনা যায়, রাজ্যপালের প্রধান সচিব পদ থেকে নন্দিনীদেবী সরানো হবে। এই আইএএসের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহার, শাসক দলের হয়ে কাজের নানা অভিযোগ তোলে বিজেপি। নবান্নের কেউ অবশ্য গত দু'দিন এই প্রসঙ্গে রা কাটেনি। তৃণমূল বিজেপিকে নিশানা করলেও ফোঁস করেনি।
আরও পড়ুন- দুয়ারে পঞ্চায়েত, মমতার বাজি ৩ হাজার কোটির ‘রাস্তাশ্রী’
শেষ পর্যন্ত বুধবার রাজ্যপালের প্রধান সচিব পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন। নবান্ন সূত্রে খবর, স্বয়ং রাজ্যপাল দিল্লি যাওয়ার আগে নন্দিনী চক্রবর্তীকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- রাজ্য বাজেটে বিপুল কর্মসংস্থানের দিশা, পাল্লা ভারি দক্ষিণবঙ্গের
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'এ নিয়ে দলের কিছু বলার নেই। এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। রাজ্য সরকার অত্যন্ত সৌজন্য দেখিয়ে রাজ্যপালের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়েছে। তবে রাজ্যপালের উপর কোনও চাপ ছিল কিনা সেটা একটা প্রশ্ন রেখে দিয়ে গেল।'