/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/03/modi-suvendu-sukanta-1.jpg)
PM Modi;s Mews: জনসভার ফাঁকেই শুভেন্দু-সুকান্তদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী।
PM Modi's Tips To Suvendu And Sukanta For Win BJP In Bengal: আরামবাগের থেকে তৃণমূল বিরোধীতায় কৃষ্ণনগরে মোদীর সুর চড়া। আসন্ন লোকসভা ভোটে শাহী টার্গেটকে ছাপিয়ে মোদীও চাইছেন রাজ্যের ৪২টি আসনেই জয়। এ জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের আগামী ১০০ দিনের জন্য দায়িত্ব বেঁধে দিয়েছেন নমো। বলেছেন, 'আপনারা আগামী ১০০ দিন গ্রামে গ্রামে যান। গ্রামের সকলকে আমার প্রণাম জানান।' এখানেই থামেননি। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। তৃণমূলকে প্যাঁচে ফেলতে বাতলেছেন তুখোর ছক। চব্বিশে দিল্লি জয়ের পথ মসৃণে মোদীর নজরে যে বাংলা, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের এ রাজ্যের দুই কাণ্ডারিকে।
শ্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং ডঃ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আমাদের সুশাসনের কর্মসূচী কীভাবে আরও ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনের বিরুদ্ধে যেসব @BJP4Bengal কার্যকর্তা লড়ছেন তাঁদের প্রত্যেকের সাহস, আবেগ ও… pic.twitter.com/rth2v6GGXK
— Narendra Modi (@narendramodi) March 2, 2024
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বৈঠক নিয়ে শনিবার সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছেন। বলেছেন, 'আমি ও শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীজি এদিন প্রায় মিনিট দশেক কথা বলেছেন। মোদীজি এ রাজ্যে কী হচ্ছে সেগুলো সবই জানেন। তাও বাংলার কী অবস্থা তা ওনাকে ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছি আমরা। রাজ্য সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরেছি। সেসব শুনে উনি কিছু নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের।'
আদৌ কী কেন্দ্র মমতা সরকারের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ করবে? সুকান্তর জবাব, 'সেসব সংবাদ মাধ্যমে বলা যাবে না। আমাদের কাজেই সেসবের প্রতিফলন থাকবে।'
শুক্রবারই রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, ওই বৈঠকে রাজ্যের দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গ থাকলেও মূল তাঁদের কথা বিভিন্ন গল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন। এই সাক্ষাৎতে 'সেটিং' বলে প্রচার করছে বাম ও কংগ্রেস। যা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'ওই দু'টো দলেরই দেওয়ালে পীঠ ঠেকে গিয়েছে। ওরা প্রোটোকল মানে জানে না। ফলে যা বলছে তাতে বঙ্গবাসীর কিছু যায় আসে না।'
পাশাপাশি সুকান্তর হুঁশিয়ারি, 'কোনও দুর্নীতিপরায়ণ মানুষকে মোদীজি ছাড়বেন না। শাস্তি পেতেই হবে।' তাহলে কেন ইডি-সিবিআই তো তদন্তে সবসময় তৎপরতা দেখাচ্ছে না? বিজেপির রাজ্য সভাপতির উত্তর, 'ইডি-তে কাজ করেন রেভিনিউ সার্ভিসের কর্মীরা। তাঁরা অস্ত্র চালাতে জানেন না। পুলিশের সহায়তাতেই কাজ করতে হয়। কিন্তু এ রাজ্যে পুলিশ তো দলদাস। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে কোর্টে যেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় দোয়েন্দা সংস্থাকে। আসলে গাছ বড় হলে যেমন ডাল পালা আগে ছেঁটে তারপর মূল গাছটি কাটা হয়, তেমনই এখন দুর্নীতিপরায়ণ তৃণমূল নেতাদের ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। পরে দলের মূল কাণ্ডারি ধরা পড়বেন।' সে সময় কবে আসবে? এক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপি সভাপতি কোনও স্পষ্ট সময়ের উল্লেখ করেননি।