গত পরশুই ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ বাকিদের। কিন্তু, গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ে গন্ডগোলের মামলায় নওশাদকে হেফাজতে নিতে চায় লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। এই সূত্রেই শুক্রবার বিধায়ক সহ বেশ কয়েকজন ধৃতকে পেশ করে হয় বারুইপুর মহকুমা আদালতে। সেই সময়ই তাঁকে ও বাকি আইএসএফ কর্মীদের আটকে রাখার কারণ জানাতে গিয়ে বোমা ফাটান নওশাদ।
কী বলেছেন নওশাদ সিদ্দিকি?
বারুইপুর আদালতে ঢোকার মুখে এদিন নওশাদ বলেন, 'চারদিকে যা অবস্থা তাতে শাসকদলের ভোট ব্যাঙ্ক নষ্ট হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারের ভয় পাচ্ছে শাসকদল। তাই আমাকে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে, এই গ্রেফতারি। কিন্তু গরিব মানুষের এই লড়াই চলবে।'
পুলিশের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে একুশের ভোটে জোটসঙ্গী আইএসএফ বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'ঘটনাস্থল তো ছিল এসপ্ল্যানেড, তাহলে লেদার কমপ্লেক্স থানা কেন তাঁকে হেফাজতে চাইবে? উল্টে ওই থানা এলাকায় তো নওশাদ সিদ্দিকির উপরেই হামলা হয়েছিল। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল। তাতে যারা অভিযুক্ত তাদের গ্রেফতার না করে উল্টে নওশাদকেই হেফাজতে চাওয়া হচ্ছে। এখানে শাসকদলের উদ্দেশ্যটা খুবই পরিষ্কার।'
আরও পড়ুন- কেষ্টর হল কী? জামিন না চেয়ে মুখে কুলুপ, হাবভাব দেখে কী বলল কোর্ট?
নওশাদের দাবি নস্যাথ করে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'সারা বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে জোট করে আইএসএফ পেয়েছে মাত্র একটি আসন। তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৬-১৭টা। তাহলে কেন আমরা আইএসএফ-কে ভয় পেতে পাব? এসব অলীক কল্পনা করে কথা না বলাই ভাল।'
গত ২১ জানুয়ারি বিকেলে আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে নওশাদ সিদ্দির নেতৃত্বে দলের কর্মসূচি ছিল কলকাতায়। ধর্মতলায় আইএসএফের সেই কর্মসূচি চলার সময় পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সহ ১৮ জনকে। পরে ধৃত এক নাবালককে জামিন দেওয়া হয়। নওশাদ সহ বাকি ১৭ জন ধৃতের ১০দিন পুলিশ হেফাজত শেষে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন- ‘বিজেপির সঙ্গে যোগ তাপসের, সব বলব’, বোমা ফাটালেন কুন্তল
২১ তারিখ বিকেলে গন্ডগোলের আগে ওই দিন দুপুরে ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমুলের পার্টি অফিস ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। কলকাতায় আসার বিধায়কের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। ওই ঘটনায় শুক্রবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয় নওশাদদের।