/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/12/cats-2025-09-12-13-53-05.jpg)
অশান্ত নেপালে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি
নেপালে জেনারেল-জেড আন্দোলনের পর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তুঙ্গে। কেপি শর্মা ওলি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের উদ্যোগ শুরু হলেও এখনও নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের বাসভবনে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক চললেও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। বিক্ষোভকারীরা, কাঠমান্ডুর মেয়র তথা র্যাপার বালেন শাহ এবং প্রাক্তন এনার্জি সেক্রেটারি কুলমান ঘিসিং সহ অনেকে সুশীলা কার্কির নাম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে ঘোষণা করেন। সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগডেলও কার্কির পক্ষে মত দিয়েছেন, তবুও রাষ্ট্রপতি আপত্তি তুলছেন বলেই খবর।
সংবিধানই মূল কারণ। নেপালের সংবিধানে বলা আছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কোনও রাজনৈতিক বা সাংবিধানিক পদে থাকতে পারবেন না। সুশীলা কার্কি দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এ কারণেই রাষ্ট্রপতি কার্কির প্রার্থীপদে আপত্তি জানিয়ে সংবিধানের প্রতি আস্থার কথা বলেছেন। একাধিক গোষ্ঠী রাষ্ট্রপতির এই অবস্থানকে সমর্থন করছে।
তবে সেনাপ্রধান আন্দোলনকারীদের দাবিকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আশ্বাস দেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তাদের প্রতিনিধি থাকবে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের উল্লেখ টেনে কার্কির প্রার্থীপদে আপত্তি জানিয়েছেন ফলে সেনা ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।
সুশীলা কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপের জন্য তিনি সেদেশে বহু চর্চিত এক নাম। নাগরিকত্ব, পুলিশ নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও দ্রুত বিচার আদালত সংক্রান্ত মামলায় তার কড়া অবস্থান রাজনৈতিক মহলে অস্বস্তি তৈরি করেছিল।
ভারত প্রসঙ্গে কার্কি বরাবরই ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন এবং ভারত-নেপাল সম্পর্ককে গভীর ও ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করেন দুই দেশের সম্পর্ক এখনো দৃঢ়। নেপালে আপাতত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও নতুন নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও কিছুদিন চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us