Netaji Death Controversy: ২০১৯-এর পর ২০২৫, ফের নেতাজির মৃত্যুদিন ঘোষণা রাহুলের, তেড়ে আক্রমণ ফব-তৃণমূল-বিজেপির
Netaji Jayanti post by Rahul Gandhi: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাতে রাহুলের পোস্টে নেতাজির মৃত্যুদিন উল্লেখ করা রয়েছে। যাকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতি। নেতাজির তৈরি করা রাজনৈতিক দল ফরোয়ার্ড ব্লক রাহুলকে অর্বাচীন বলে আক্রমণ শানিয়েছে।
Rahul-Netaji: শ্রদ্ধার বদলে নেতাজিকে অপমানের অভিযোগ উঠল রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে
Netaji Jayanti post by Rahul Gandhi: নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতার সেই পোস্টেই বিরাট বিতর্ক। শ্রদ্ধার বদলে নেতাজিকে অপমানের অভিযোগ উঠল রায়বরেলির সাংসদের বিরুদ্ধে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাতে রাহুলের পোস্টে নেতাজির মৃত্যুদিন উল্লেখ করা রয়েছে। যাকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতি। নেতাজির তৈরি করা রাজনৈতিক দল ফরোয়ার্ড ব্লক রাহুলকে অর্বাচীন বলে আক্রমণ শানিয়েছে।
Advertisment
রাহুলকে আক্রমণের তালিকায় তৃণমূল-বিজেপিও রয়েছে। এর আগেও ২০১৯ সালে নেতাজি জয়ন্তীতে একই কাজ করেছিলেন রাহুল। সেবারও তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তীব্র আক্রমণ করা হয় রাহুলকে। এবারও তার অন্যথা হয়নি।
বৃহস্পতিবার নেতাজি জয়ন্তী উপলক্ষে সকালে রাহুল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টটি করেন। তাতে নেতাজির জন্ম এবং মৃত্যুতারিখ দুই-ই লেখা ছিল। মৃত্যুদিন হিসাবে লেখা ছিল, ১৮ আগস্ট, ১৯৪৫। ওইদিনই তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির তথাকথিত মৃত্যু হয়েছিল দাবি ওঠে। এই বিতর্কিত তত্ত্বকে কার্যত সিলমোহর দিয়ে দিল রাহুলের পোস্ট। অথচ ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান খুঁজতে বিভিন্ন কমিশন গঠিত হয়। কোনও কমিশনই তথাকথিত বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।
Advertisment
এবার রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, কীসের ভিত্তিতে তিনি নেতাজির মৃত্যুদিন তত্ত্বে সিলমোহর দিলেন। এই প্রশ্ন তুলেছে রাহুলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাঁকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, 'লোকসভার বিরোধী দলনেতা নিজের পোস্টে যেভাবে নেতাজির মৃত্যুদিন ঘোষণা করে দিয়েছেন তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং দুঃখজনক। গোটা দেশের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।'
তৃণমূলও সুর চড়িয়েছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'নেতাজি সম্পর্কে অন্তর্ধান রহস্য কথা ব্যবহার করা হয়। তাইহোকুতে আদৌ বিমান দুর্ঘটনা হয়েছিল কি না, তাতে আদৌ কারও মৃত্যু হয়েছিল কি না, তার কোনও প্রমাণ নেই। বরং এর পরের অনেকটা ঘটনা অকথিত আছে। সুতরাং ১৯৪৫-এর ১৮ আগস্ট নেতাজির মৃত্যুদিন বলে দেওয়া কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়।'
ফরোয়ার্ড ব্লক চেয়ারম্যান নরেন চট্টোপাধ্যায় রাহুলকে অর্বাচীন বলে আক্রমণ করেছেন। তাঁর কথায়, 'নেতাজির মৃত্যুদিন সম্পর্কে কংগ্রেস আগেও বিতর্ক তৈরি করেছে। আবারও করল। কংগ্রেস বরাবরই এটা করে থাকে। রাহুল গান্ধী অর্বাচীনের মতো মন্তব্য করেছেন। অর্বাচীন এই কারণেই যদি তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে কীভাবে জানলেন নেতাজি ওইদিন মারা গিয়েছিলেন, উনি উত্তর দিতে পারবেন না। প্রমাণ দেখাতে পারবেন না। পালিয়ে যাবেন। একটা সাংবিধানিক পদে বসে থাকা ব্যক্তি এত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করলে তাঁকে অর্বাচীন ছাড়া আর কী বলা যায়?'