এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের লাগাতার ডিএ আন্দোলনের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডিএ আন্দোলন ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। বকেয়া ৩৬ শতাংশ দাবির এই আন্দোলন এখনও থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তারই মধ্যে ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে গিয়ে তাঁদের প্রাপ্য দাবিতে সরব হলেন বিরোধী নেতৃত্ব। একই দিনে সব বিরোধী নেতৃত্ব ডিএ মঞ্চে হাজির তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সামিল হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য, কলতান দাশগুপ্ত, কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান, কৌস্তভ বাগচি। সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের প্রাপ্য পাচ্ছেন না বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। তবে দাবির কোনও সুরাহা না হওয়ায় শহিদ মিনারের নীচে লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয়ী আন্দোলনকারীরা। কিন্তু এক যোগে হাজরার মঞ্চে বিরোধী নেতৃত্ব হাজির, তা নিয়েই মশগুল রাজনৈতিক মহল।
এর আগে ভিন্ন দিনে নানা সময়ে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পাশে বিরোধী দলের নেতৃত্বকে দেখা গিয়েছে। এবার কিন্তু হাজরার দৃশ্যপট অনেকটাই ভিন্ন। একইদিনে হাজির বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব। পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, সাগরদিঘি মডেলকে অনুসরণ করতে চাইছে তৃণমূল বিরোধীরা।
আরও পড়ুন- ‘মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন চুরি শুরু’, তুলকালাম অভিযোগ দিলীপের
এই মডেলেই যে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করা যাবে তা বেমালুম উপলব্ধি করতে পারছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ঘাসফুল শিবিরকে সব দিক থেকে চাপে ফেলাই এখন রাজ্যের মূল বিরোধী দলগুলির লক্ষ্য তা তাঁদের কর্মসূচিতেই স্পষ্ট। শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান তুলেছেন 'নো ভোট টু মমতা'। ডিএ আন্দোলনও তৃণমূল ছাড়া সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব সরাসরি সমর্থনও করছে।
ইতিমধ্যে ভোটের কাজে অংশগ্রহণ নিয়ে নিরাপত্তার অভাব বোধের কথা বলেছেন আন্দোলনকারীরা। নির্বাচনের সব পর্যায়ে পদ অনুযায়ী দায়িত্ব বর্তায় সরকারি কর্মচারীদের। বুথের দায়িত্ব সামলাতে হয় মূলত রাজ্য সরকারি কর্মীদের। গত পুরভোটে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, বুথে-বুথে ব্যাপক ছাপ্পা ভোট, রিগিংয়ের।
আরও পড়ুন- ‘খেলা’ শুরু তৃণমূলের! ভাঙড়ে ISF শিবিরে ধাক্কা, জোড়াফুল হাতে নিলেন শতাধিক কর্মী
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী একেবারে হাতোগোনা বুথে পুনরায় ভোট নেওয়া হয়েছে। সামনেই গ্রামপঞ্চায়েত ভোট, পরের বছরই লোকসভার নির্বাচন। বেজায় কৌশলী বিরোধী নেতৃত্ব। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের আন্দোলন অরাজনৈতিক। তবে কেউ যদি এসে সমর্থন জানায় তাহলে কিছু করার নেই।