পুজোর আগেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি। মা দ্যুতি জন্ম দিল জেব্রা শাবকের। গত ১৯ অগাস্ট জন্মাষ্টমীর দিনই জন্ম হয় জেব্রা শাবকের। গতকাল তাকেই দর্শকদের সামনে ছাড়া হয়। সদ্যজাত জেব্রা ছানা যে চিড়িয়াখানার দর্শকদের কাছে এক আলাদা আকর্ষণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে মা এবং সন্তান উভয়েই সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। চিড়িয়াখানার অনেকেই নতুন এই সদস্যকে কানাইয়া অথবা কৃষ্ণ নামে ডাকতে শুরু করেছে। নতুন সদস্য আসায় এখন আলিপুর চিড়িয়াখানার জেব্রা সংখ্যা বেড়ে হল ৭। তার মধ্যে তিনটি ছেলে ৪ টি মেয়ে।
সোমবার নতুন সদস্যকে দেখতে রীতিমত দর্শকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। এই নিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস কুমার সামন্ত জানিয়েছেন, “জন্মের পর থেকে মা’র থেকে কিছুদিন আলাদা রাখা হয়েছিল জেব্রা শাবককে। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছে। সোমবারই নতুন সদস্যকে দর্শকদের সামনে ছেড়ে দেওয়া হয়। মা দ্যুতিরও জন্ম এই চিড়িয়াখানার। সদ্য জন্মান এই জেব্রা শাবকের এখনও নামকরণ হয়নি। তবে জন্মাষ্টমীর দিন হয়েছে বলে অনেকেই তাকে কৃষ্ণ বা কানাইয়া নামে ডাকতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক খাওয়া -দাওয়া করছে সে। এক বছর পর্যন্ত মায়ের দুধই প্রধান খাবার। নতুন এই সদস্যকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে”।
আরও পড়ুন: < আগুন সবজি বাজার! সিদ্ধিলাভে ‘ছ্যাঁকা’ আম-আদমির >
গত ফেব্রুয়ারিতেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoo) জন্ম নিয়েছে নতুন অতিথি। ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছে তৃণা। তৃণা আলিপুর চিড়িয়াখানার এক জিরাফ। যাকে ঘিরে আলিপুর চিড়িয়াখানায় খুশির আমেজ। মা ও মেয়ে জিরাফ ছানা এখন দিব্যি আছে। বাবা মঙ্গল। আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি মেয়ের জন্ম দিয়েছে জিরাফটি। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জিরাফ ছানাটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দর্শকদের জন্য। তারপরই নতুন জেব্রা শাবকের জন্মের খবরে খুশির হাওয়া চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানাচ্ছেন, “বাচ্চা হওয়ার পরে যে কোনও মা-ই তাকে আঁকড়ে থাকে। দ্যুতির ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। এখন মা বাচ্চাকে কাছছাড়া করছেই না, কোনও চেনা কর্মী ছাড়া কাছে ঘেঁষতেও দিচ্ছে না”।
গত জুলাইয়েই নতুন ন’টি অ্যানাকোন্ডার জন্ম হয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, ভারতবর্ষের সমস্ত চিড়িয়াখানার মধ্যে সবথেকে বেশি অ্যানাকোন্ডা রয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই। গত বছর ১১ জুলাই জন্ম হয় এই অ্যানাকোন্ডাগুলির। ২০১৯ সালের জুন মাসে চেন্নাই থেকে আলিপুরে যে চারটি হলুদ অ্যানাকোন্ডা নিয়ে আসা হয়েছিল, প্রথম এক বছর পর তাদেরই আরও সাতটি অ্যানাকোন্ডার জন্ম হয়। এখন অ্যানাকোন্ডার সংখ্যা দাঁড়ালো মোট কুড়িটি। আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানানো হয়েছে জেব্রার সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সেখানে বেড়েছে জিরাফের সংখ্যাও। এর আগেও এখানে অনেক সুস্থ সবল পশুর জন্ম হয়েছে। চিড়িয়াখানার চিকিৎসক এবং কর্মীরা প্রশংসার দাবি রাখেন। যাই হোক, নতুন সদস্যের আগমনের খবরে খুশির হাওয়া আলিপুর চিড়িয়াখানায়।