NIA Attacked in Bhupatinagar: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এনআইএ আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় তিনদিন পার। এখনও অধরা অভিযুক্তরা। ঘটনার তদন্ত করছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। কিন্তু তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি। কেন এখনও কেউ ধরা পড়ল না তা নিয়ে মুখে কুলুপ পুলিশের।
এবছর ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে একইভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। তার পুনরাবৃত্তি হয়েছে ভূপতিনগরে। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা এলাকার কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন গ্রামবাসীদের। মহিলারা লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে তেড়ে আসেন আধিকারিকদের দিকে। সামাল দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর মহিলা জওয়ানরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, আক্রান্ত এনআইএ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে ভূপতিনগর থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। আহত আধিকারিকের মেডিক্যাল রিপোর্টও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, কয়েক জন গ্রামবাসীকেও নোটিস দিয়ে ডেকেছে পুলিশ। এনআইএ আধিকারিকদের যে গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ, সেটিকেও ভূপতিনগর থানার হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে। গাড়িটি ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন Bhupatinagar NIA Investigation: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার বড় পদক্ষেপ এনআইএ-র, আজই হেস্তনেস্ত?
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে কেন আগে অভিযোগকারীকে ডেকে পাঠাচ্ছে পুলিশ। বিজেপির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির দাবি, সন্দেশখালির মতো ভূপতিনগরেও পুলিশের ছত্রছায়ায় রয়েছেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ওদের ধরলে ছাপ্পা দেওয়ার লোক পাবে না তৃণমূল। এদিকে, পাল্টা এনআইএ আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন ধৃত তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানার স্ত্রী মণি জানা।
তাই পুলিশ জেরা করার জন্য এনআইএ আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছে। এসডিপিও দিবাকর দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন. অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এনআইএ। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলা দায়েরের অনুমতি চাওয়া হয়। আদালত অনুমতি দিয়েছে। আজ, বুধবার সম্ভবত মামলার শুনানি হতে পারে।