Advertisment

বিদ্যুৎহীন স্কুল, আসানসোলে মাঠে বসেই চলছে পঠন পাঠন

স্কুলের চার দেওয়ালের আঁধার থেকে বেরিয়ে এবার মাঠে বসে ক্লাস করছে ছাত্রছাত্রীরা। এমনই ছবি ধরা পড়ল আসানসোলের রূপনারায়ণপুরের হিন্দুস্থান কেবলস এলাকায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মাঠের নীচে বসেই চলছে ক্লাস। ছবি- ছোটন সেনগুপ্ত

নেই বিদ্যুৎ, তা বলে থেমে থাকেনি বিদ্যা দান। স্কুলের চার দেওয়ালর আঁধার থেকে বেরিয়ে এবার মাঠে বসে ক্লাস করছে ছাত্রছাত্রীরা। এমনই ছবি ধরা পড়ল আসানসোলের রূপনারায়ণপুরের হিন্দুস্থান কেবলস এলাকায়। একসময় জমজমাট এলাকা ছিল রূপনারায়ণপুর থেকে আপারকেশিয়ার এই এলাকা। মূলত হিন্দুস্থান কেবলস কারখানাকে কেন্দ্র করেই সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে সেই কারখানা বন্ধ হতেই অন্ধকার নেমে আসে এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে স্কুলের পাশে একটি মাঠে বসিয়ে সেখানেই চলছে পঠন-পাঠন।

Advertisment

কেন এই অবস্থা হিন্দুস্থান কেবলস এলাকার?

২০১৬ সালে হিন্দুস্থান কেবলস কারখানা বন্ধ হওয়ার এক বছরের মধ্যেই আবাসন, বিদ্যালয় সহ গোটা এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দেওয়া হয়। এদিকে জুলাই মাসে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছে এই শহরেরই বেশ কয়েকটি স্কুল। এর মধ্যে সবচেয়ে জরাজীর্ণ অবস্থা হিন্দুস্থান কেবলসের নিম্ম বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের। স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হওয়ার কারণে ক্রমশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে এই স্কুলের ক্লাসঘরগুলি। তবে ক্লাস বন্ধ করতে নারাজ স্কুলের শিক্ষক -শিক্ষিকারা। তাই স্কুলের মাঠের পাশেই চলছে পঠন পাঠন।

আরও পড়ুন- পানীয় জলে মিশছে নর্দমার জল, সংকটে অণ্ডালবাসী

তবে রাস্তার পাশেই স্কুলের মাঠটি থাকায়, গাড়ি চলাচলের কারণে ছাত্র ছাত্রীদের মন সংযোগে বিঘ্ন ঘটছে। এদিকে স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের অভিযোগ, ক্লাসের মধ্যে অন্ধকার এবং প্রচণ্ড গরম থাকায় সেখানে বসে থাকা যায় না। তাই বেলা বাড়লে বাধ্য হয়েই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মাঠে গাছের তলায় চলে আসতে হয়। অন্যদিকে, গরমের কারণে এবং বাইরে স্কুল চালানোয় দিন দিন কমছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা এমনটাই জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক। প্রসঙ্গত, এই এলাকায় বর্তমানে আদিবাসী এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর বাস। মূলত সেই সব পরিবার থেকেই ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসত স্কুলে। কিন্তু স্কুলের এই দুর্দশার কারণে তারাও এখন স্কুল ছুট হচ্ছে।

আরও পড়ুন- বীরভূমের ইলামবাজার সেতুতে ফাটল, প্রশাসনের নিয়ম না মেনে অবাধে যাতায়াত

তবে, ইতিমধ্যেই প্রশাসনের সব মহলে বিষয়টি তুলে ধরেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত ঘোষ। কিন্তু কোনও জায়গা থেকেই তেমন সাড়া আসেনি বলে জানাচ্ছেন সুব্রতবাবু। সালানপুরের বিডিওকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "ইতিমধ্যেই জেলা শাসকের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ওই বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে"।

দুর্গাপুরের সব খবর পড়ুন এখানে

asansol West Bengal
Advertisment