‘নো এনআরসি’- প্রতিবাদ জানাতে কেউ হাত কেটে রক্ত ঝরাচ্ছেন। আবার কেউ প্রি ওয়েডিং শ্যুটে হাতে এনআরসি বিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে গম্ভীর মুখে পোজ দিচ্ছেন। এসব কিছুকে এবার ছাপিয়ে গিয়েছে ‘নো এনআরসি’ হেয়ার স্টাইল। বাংলার এক কিশোরের চুলের ছাঁটে শোভা পেয়েছে ‘নো এনআরসি’ লেখা। এনআরসি কী ? কেন সবাই এত রে রে করে উঠছেন? এ ব্যাপারে অবশ্য বেশি কিছু বোঝে না জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের সুমন মোদক। তবে এটুকু সে জানে যে ‘এনআরসিতে ভাল হবে না’। এনআরসি ইস্যুতে বাংলার কিশোরের এহেন প্রতিবাদ এখন টক অফ দ্য টাউন।
‘নো এনআরসি’ হেয়ার স্টাইল করে এখন রীতিমতো ‘ফেমাস’ জলপাইগুড়ির সুমন। অমন চুলের ছাঁট দেখতে তাকে ঘিরে ভিড়ও জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকী, সুমনের এহেন কীর্তি নজর এড়াতে পারেনি স্থানীয় বিধায়ক খগেশ্বর রায়েরও। তাঁর দলনেত্রী যখন এনআরসি ইস্যুতে রীতিমতো গর্জে উঠেছেন, সেই আবহে এলাকার কিশোরের এমন অভিনব প্রতিবাদে ‘খুশি’ বিধায়ক। সুমনকে দেখেই তাঁর সঙ্গে খোশমেজাজে গল্পে মাততে দেখা যায় বিধায়ককে। আনন্দে জনে জনে সুমনের হেয়ার স্টাইল দেখাতে থাকেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন: রক্তেলেখা ‘নো এনআরসি’, হাত কেটে রক্ত ঝরিয়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা
ভিডিও সৌমিত্র সান্যাল।
কেন হেয়ার স্টাইলে ‘নো এনআরসি’ লিখল সুমন? সে কি বোঝে এনআরসি কী? না, অতটাও হয়তো বোঝে না জলপাইগুড়ির কিশোর। তবে এটা বুঝেছে যে, এনআরসি চালু হলে অনেককে বাংলাদেশে ও ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হতে পারে। আর সে কারণেই তার এই স্টাইল।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। এ রাজ্যেরই নদিয়ার চাকদার বাসিন্দাদের একাংশ হাত কেটে রক্ত দিয়ে ‘নো এনআরসি’ লিখে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে। আবার এনআরসি ও সিএএ-র বিরোধিতা জানিয়ে অন্যরকম প্রি ওয়েডিং শ্যুট করেছেন তিরুঅনন্তপুরমের এক যুগল। ‘নো এনআরসি’ ও ‘নো সিএএ’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন ওই হবু দম্পতি।