পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল৷ আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে পার্থ-অর্পিতার। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশ, আগামি ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন পার্থ-অর্পিতা। এই সময়কালে ধৃত দু’জনকেই জেরা করতে পারবে ইডি।
১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এ দিন ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করে ইডি। পার্থর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। আদালতে পার্থর আইনজীবী জানান, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর চিকিৎসার খুব প্রয়োজন। দ্রুত চিকিৎসা না হলে তাঁর বিপদ বাড়বে। ধৃত এই রাজনীতিবিদের রক্তে হিমোগ্লোবিন কম, শরীরে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। একা চলাফেলার ক্ষেত্রে পার্থর অসুবিধা রয়েছে বলে আদালতে বলেন পার্থর আইনজীবী।
আরও পড়ুন- অনুব্রত-কন্যার চাকরি নিয়ে মামলা, ‘বিরাট’ নির্দেশ আদালতের
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের প্রবল বিরোধীতা করেন ইডির আইনজীবী। জেল হেফাজতে থাকাকালীন প্রাক্তন মন্ত্রীর শরীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার দাবি নস্যাৎ করেছেন আইনজীবী। ইডির আিনজীবীর যুক্তি, ওই বয়সে শারীরিক নানা সমস্যা থাতেই পারে। তবে সেটা গুরুতর নয়। প্রাক্তন মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে ভুবনেশ্বরের এইমসে চিকিৎসা হয়েছে। জোকা ইএসআই-তে নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয়। ফলে জামিনের প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন- বেকায়দায় সুকন্যা, মেয়ের নিয়োগ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল
এরপরই বিচারপতি পার্থ-অর্পিতার জামিনের আবেদন খারজি করেন।
এদিকে এ দিন আদালতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে 'ষড়যন্ত্র' হয়েছে। তবে, কে বা কারা সেই ষড়যন্ত্র করেছে তা খোলসা করেননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। পার্থর দাবি ঘিরে শোরগোল পড়েছিল। তারপর মন্ত্রিত্ব ও দলের সব পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার আদালতে ফের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিব।
এ দিন আদালতে পেশের সময় হাত জোড় করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'কেউ ছাড় পাবেন না।' তবে এ দিনও নির্দিষ্ট করে কোনও ব্যক্তির নাম জানাননি তিনি। তবে বাংলার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।