নেশার ঘোরে রাস্তায় গড়াগড়ি খেলেন জয়েন্ট বিডিও। মাথায় জল ঢেলে নেশা কাটানোর চেষ্টা চালালেন গ্রামের মহিলারা। সেই দৃশ্য আপাতত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযোগ, গত রবিবার রাত ন'টা নাগাদ আলিপুরদুয়ার ১ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও নিখিলচন্দ্র সরকারকে আলিপুরদুয়ারের সাহেবপোতা এলাকায় রাস্তার ধারে অন্ধকারে পড়ে থাকতে দেখেন এক এলাকাবাসী। মুহুর্তে খবর চাউর হয়ে যায় গ্রামে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন গ্রামের পুরুষ ও মহিলারা।
অফিসে অফিসে শুরু হয়েছে অভিযান
সরকারী আধিকারিকের এই হাল দেখে তাঁকে সুস্থ করতে এগিয়ে আসেন মহিলারা। এরপরই শুরু হয় বিপত্তি। অভিযোগ, মহিলাদের প্রথমে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন নিখিলবাবু। এরপর শুরু করেন গালিগালাজ। আর তাতেই পরিস্থিতি আগুনে ঘি ঢালার মতো হয়। উত্তেজিত প্রমীলা বাহিনী তাঁর মাথায় ঠান্ডা জল ঢেলে তাঁর নেশা কাটানোর পাশাপাশি খবর দেন সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। গোটা ঘটনা মোবাইল বন্দী করেন গ্রামবাসীরা। এরপরে পুলিশ এসে নিখিলবাবুকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়, এবং বিডিও-কে ডেকে তাঁর হাতে জয়েন্ট বিডিও-কে তুলে দেয়। প্রত্যাশিতভাবেই ভাইরাল হয় সেই রাতের ভিডিও ফুটেজ।
আরও পড়ুন: জমি কেনা বেচার মিউটেশন এখন থেকে হবে অনলাইনে
স্থানীয় বাসিন্দা নীরবালা বর্মণ জানান, "আমরা খবর পাই, অন্ধকারে এক মাতাল রাস্তার ধারে পড়ে আছে। আমরা মহিলারাই এমনিতে গ্রামের মাতাল তাড়াই। তাদের শায়েস্তা করি। তাই খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। অন্ধকারে প্রথমে আমরা কেউ তাঁকে চিনতে পারিনি। মুখে আলো ফেলে চেনার চেষ্টা করতেই শুরু করেন হুমকি ও গালিগালাজ। জানতে পারি উনি জয়েন্ট বিডিও। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।" আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, আজ জেলাশাসকের নির্দেশে জেলার সমস্ত ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে অঘোষিত পরিদর্শন চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। সকাল দশটায় শুরু হয় পরিদর্শন, এবং তিনজন ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে অনুপস্থিতির এবং দেরিতে আসার কারণে শো'কজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ২২ জন করণিকের বিরুদ্ধে কাজে অনুপস্থিতি বা দেরির কারণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও ৬,২২২ টি মিউটেশন মামলা অমীমাংসিত রয়েছে, যেগুলি মেটানোর উদ্দেশ্যে ফালাকাটা, এপিডি ১ এবং ২ এলাকায় বিশেষ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হবে। ষাট দিনের বেশি ধরে জে মামলাগুলির নিষ্পত্তি হয় নি, সেগুলির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এবার থেকে প্রতি মাসে ভূমি আধিকারিকদের সঙ্গে মিটিং করবেন জেলাশাসক।