Indian Railway: এনজেপি-শিয়ালদাহগামী ডাউন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি কামরায় আরশোলার দৌরাত্ম্যের জের, মালদা টাউন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন যাত্রীরা। গত বুধবার গভীর রাতের মালদা টাউন স্টেশনে এমন বিক্ষোভের ঘটনার বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। (যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা)
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে মালদা টাউন স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের বেশ কিছু যাত্রী একজন রেল পুলিশের কর্তার সামনেই চরম বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এসি কামরায় এত বিপুল পরিমাণ আরশোলা কেন সে কথাও বলতে শোনা যাচ্ছে যাত্রীদের মুখ থেকে। ওই যাত্রীদের অভিযোগ, গভীর রাতে স্টেশনের রেল অফিসারদের পাওয়া যায় না, তাহলে অভিযোগ জানাবো কোথায়? মোটা টাকা দিয়ে টিকিট কাটার পরেও এসি কামরার এমন অবস্থা। যত্রতত্র আরশোলার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হতে হয়েছে যাত্রীদের। রেলের জরুরীকালীন নম্বরে ফোন করেও কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায় নি। তাই এভাবেই মালদা টাউন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে হয়েছে ।
পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোচবিহারের বানারহাট থেকে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে । সেটি এনজেপিতে প্রবেশ করে বিকেল ৫ টা ৪০ মিনিটে। এরপর এই ট্রেনটি মালদা টাউন স্টেশনে এসে পৌঁছাবার সময় রয়েছে রাত ১০ টা স২০ মিনিট। শিয়ালদহে পৌঁছানোর টাইম রয়েছে ভোর পাঁচটা। ঘটনার দিন ডাউন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ের কিছু দেরিতেই মালদা টাউন স্টেশনে প্রবেশ করে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। একদিকে ট্রেন লেট। অপরদিকে এসি কামরায় আরশোলা বাহিনীর দৌরাত্ম্য , সবমিলিয়ে দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রী পরিষেবা নিয়ে তিতিবিরক্ত অনেক যাত্রীরা।
এদিন ওই এসি কামরার যাত্রী বিনোদ গুপ্তা রাজেশ আগারওয়ালদের অভিযোগ, একেই তো দূরপাল্লার এসি সংরক্ষিত কামলার ট্রেনের টিকিট সহজেই পাওয়া যায় না। টাকা দিয়ে তৎকালে টিকিট কাটতে হয় তার উপর এসি কামরায় আরশোলার উপদ্রব। এনজিপি স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার আধঘন্টা পর থেকেই এই কামরাতে কিলবিল করছিল আরশোলা, বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনটি থামিয়েছে কিন্তু এক থেকে দেড় মিনিট স্টপেজ টাইম বলে কোথাও সেভাবে অভিযোগ জানানো যায়নি। মালদা টাউন স্টেশনে ট্রেনটি বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু ট্রেনের কামরার এমন দুরবস্থার বিষয়ে অভিযোগ জানাবো কোথায় বুঝে উঠতে পারছিলাম না এই মুহূর্তে একজন রেল পুলিশকে অভিযোগের বিষয়টি জানানো হয়।
অধিকাংশ যাত্রীদের অভিযোগ, এনজেপি থেকে ট্রেনটি ছাড়ার পরই অসংখ্য আরশোলার উপদ্রবে যাত্রীরা ঠিকমতো নিজেদের আসনে বসতেই পারছিলেন না। মালদা টাউন স্টেশনে ১০ মিনিট এই ট্রেনটির স্টপেজ টাইম রয়েছে। আর তখনই যাত্রীরা গভীর রাতে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনটি এনএফ রেলের অধীনে। কিন্তু পোকা মারতে ট্রেনের ভিতরে নিয়মিত কীটনাশক দেওয়া হয়। পূর্ব রেলের মালদার ডিআরএম মনিশ কুমার গুপ্তা জানিয়েছেন, ট্রেনের কামড়াগুলিতেই নির্দিষ্ট ভাবে রেলের অ্যাপ নম্বর দেওয়া আছে। সেইসব নম্বরে ফোন করলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।