Travel: কোলাহলহীন সমুদ্র সৈকতে দিন কয়েক নিরিবিলিতে কাটিয়ে আসুন। পাড়ি জমান বঙ্গোপসাগরের কোলের এই পাড়ে। শান্ত-স্নিগ্ধ এই সাগরতটে কাটানো মুহূর্তগুলি আপনাকে স্ট্রেসফুল জীবন থেকে ভরপুর আরাম এনে দেবে। সাগরতট জুড়ে লাল কাঁকড়ার সমাহার দেখে মন মাতবেই। দিন কয়েকের ছুটি পেলে নির্দ্বিধায় ঝটিকা সফর সেরে যেতে পারেন এই সমুদ্রতট থেকে। বালিয়াড়ি জুড়ে অসাধারণ দৃশ্যে মন মজবেই।
ঘুরে আসুন চাঁদিপুর থেকে। দিঘা লাগোয়া এই সমুদ্রতট ওড়িশার বালেশ্বর জেলার মধ্যে পড়ে। দিঘা যেমন পর্যটকদের ভিড়ে বছরভর গমগম করে, চাঁদিপুর কিন্তু তেমন জায়গা নয়। পর্যটকদের ভিড় থাকলেও তা মাত্রা ছাড়ায় না কখনই। নিরিবিলি-শান্ত পরিবেশ মোটামুটি বছরভরই এখানে পাবেন।
আরও পড়ুন- বর্ষায় কলকাতার কাছের এই সি-বিচ আরও রঙিন! সৌন্দর্য্যে টেক্কা দিঘা-পুরীকেও
কলকাতা থেকে চাঁদিপুরের দূরত্ব মেরেকেটে ২৬০ কিলোমিটারের মতো। সাগরতটজুড়ে লাল কাঁকড়ার দাপাদাপি এলাকার পরিবেশটাকে আরও মধুর করে তোলে। সন্ধে-রাতে চাঁদের আলোয় চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকতের বালুরাশি চিকচিক করে ওঠে। সেই কারণেই হয়তো একে চাঁদের শহর বা চাঁদিপুর বলা হয়। কোলাহলমুক্ত সমুদ্র সৈকতের গা ঘেঁষে রয়েছে ঝাউবনের সারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিরালায় কাটাতে হলে এই এলাকার জুড়ি মেলা ভার।
চাঁদিপুরে কী দেখবেন?
চাঁদিপুরে থেকে ঘুরে আসতে পারেন কাছের চণ্ডী মন্দির, নীলগিরির জগন্নাথ মন্দির থেকে। এছাড়াও রয়েছে কুলদিহা অভয়ারণ্য। চাঁদিপুরের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় জায়গা হল পঞ্চলিঙ্গেশ্বর। ভগবান শিবের পাঁচটি মূর্তি রয়েছে এখানে।
আরও পড়ুন- শান্ত-নিরিবিলি অপূর্ব এক সমুদ্রতট, মনের ক্লান্তি কাটাতে এজায়গার জুড়ি মেলা ভার!
কীভাবে যাবেন চাঁদিপুরে?
কলকাতা থেকে চাঁদিপুরের দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে সরাসরি চাঁদিপুর যাওয়ার কোনও ট্রেন নেই। এক্ষেত্রে আপনাকে হাওাড়া থেকে ট্রেনে চেপে ওড়িশার বালেশ্বরে নামতে হবে। সেখান থেকে চাঁদিপুর যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন।
চাঁদিপুরে থাকবেন কোথায়?
চাঁদিপুরে থাকার জন্য ছোট-বড় নানা ধরনের হোটেল পেয়ে যাবেন। এসি-নন এসি দুই ধরনের ঘর মিলবে। এগুলিতে থাকার খরচও নাগালের মধ্যেই। চাঁদিপুরে পৌঁছেও হোটেল বুক করতে পারেন। তবে আগে থেকে বুকিং করে যাওয়াই ভালো। চাঁদিপুরের কয়েকটি হোটেলের নাম ও ফোন নম্বর নীচে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন- কোলাহলহীন পরিবেশ! বর্ষায় বাংলার অসাধারণ এই সাগরতটের নজরকাড়া সৌন্দর্য্য মন জুড়োবেই
Arpita Beach Resort- 085949 16474
The Royal Beach Resort- 090405 83655
Hotel Shuvam- 083288 05274
Rainbow Guest House- 086372 51406