Travel: জল-জঙ্গল-পাহাড়ের ভুবনভোলানো মিশেল! কলকাতার কাছে মনোমুগ্ধকর এপ্রান্ত বেড়ানোর সেরা ঠিকানা!
Travel: বেড়ানোর জন্য অনেকেই নিরিবিলি প্রান্ত খোঁজেন। কলকাতার কাছের অপূর্ব এই এলাকা এককথায় অসাধারণ। এখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের প্রেমে পড়ে যাবেন। দিন কয়েক হাতে নিয়ে ঝটিকা সফরে বেরিয়ে আসুন প্রকৃতির নিজে হাতে সাজানো অনিন্দ্যসুন্দর এই প্রান্ত থেকে। বেড়ানোর সংজ্ঞাটাই বদলে দেবে এখানকার সোনালী ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
Travel: বেড়ানোর জন্য অনেকেই নিরিবিলি প্রান্ত খোঁজেন। কলকাতার কাছের অপূর্ব এই এলাকা এককথায় অসাধারণ। এখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের প্রেমে পড়ে যাবেন। দিন কয়েক হাতে নিয়ে ঝটিকা সফরে বেরিয়ে আসুন প্রকৃতির নিজে হাতে সাজানো অনিন্দ্যসুন্দর এই প্রান্ত থেকে। বেড়ানোর সংজ্ঞাটাই বদলে দেবে এখানকার সোনালী ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
Offbeat Destination: ঝটিকা সফরে বেড়ানোর সেরা ঠিকানা এতল্লাট।
Travel: জল-জঙ্গল আর পাহাড়ের এমন অসাধারণ মিশেল এজায়গাতে এলেই দেখা যায়। ঘন জঙ্গল, পাহাড় ও নদীর কাছাকাছি থাকার এমন সোনালী সুযোগ হারাতে চান না অনেকেই। তাই তো দিন যত যাচ্ছে প্রকৃতির কোল ছুঁয়ে থাকা এতল্লাটের জনপ্রিয়তা ততই বাড়ছে। ইকো ট্যুরিজমের সৌজন্যে এই জায়গাটি এখন বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে পর্যটকদের কাছে। বাঙালি পর্যটকদের একটি বড় অংশ পাড়ি জমাচ্ছেন ওড়িশার এই প্রান্তে।
Advertisment
পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য ওড়িশার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে নজরকাড়া একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। সাতকোশিয়া তাদেরই অন্যতম। মহানদীর পাড় ঘেঁষা এই সাতকোশিয়া পাখিপ্রেমীদের কাছে স্বর্গোদ্যানের মতো। ঘন অরণ্যে ঘেরা এই বনাঞ্চল আদতে একটি টাইগার রিজার্ভ। এখানকার ঘন জঙ্গলে রয়েছে বাঘ, হরিণ, বাইসন, হাতি, লেপার্ড, ভাল্লুকের মতো বন্য জন্তু।
দিন কয়েকের ছুটি নিয়ে চাইলে ঘুরে যেতে পারেন ওড়িশার এই অপরূপ এলাকা থেকে। মহানদীর পাড়ের এই এলাকায় সকালটা দারুণ মোহময়। গোটা সবুজ উপত্যকা জুড়ে অপার এক শান্তি বিরাজ করে। কোলাহলহীন, নিরিবিলি এই এলাকায় প্রকৃতি যেন ঝুলি উজাড় করে তার সব সৌন্দর্য্য ঢেলে দিয়েছে। তারিয়ে-তারিয়ে উপভোগ করুন অনবদ্য সেই মেজাজ।
Advertisment
বাঙালি পর্যটকদের কাছে ক্রমেই ওড়িশার এই এলাকা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
গোটা এলাকা ঘিরে রয়েছে জঙ্গল, পাহাড় ও নদী। সাতকোশিয়ার দু-ধারে পূর্বঘাট পাহাড় আর তার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে মহানদী। এখান থেকে হেঁটেই ঘুরে আসতে পারেন ঘড়িয়াল রিসার্চ সেন্টার থেকেও। এককথায় বলতে গেলে এতল্লাটের প্রাকৃতিক শোভা লেখনীতে বর্ণনা করা বেশ কঠিন। নদীর পাড়ে পাহাড়ের মাথা থেকে ঢলে পড়া সূর্যের কিরণ গোটা এলাকায় যেন অদ্ভুত এক মাদকতা ছড়িয়ে দেয়।
এই এলাকায় সূর্যাস্তের দৃশ্যও মন রাঙিয়ে দেয়। ক্যাম্পে বোটিংয়ের মজা তারিয়ে-তারিয়ে উপভোগ করার মতো। বোটিং করতে করতেই দেখা মিলতে পারে কুমিরের। এছাড়াও ওরিয়েন্টাল ব্লু ম্যাগপাইয়ের দেখা মিলবে এপ্রান্তে। ভাগ্য সহায় থাকলে দেখা মিলবে কচ্ছপেরও।
কলকাতা থেকে ট্রেনে গেলে পৌঁছে যান হাওড়ায়। সম্বলপুর এক্সপ্রেস ধরতে হবে। হাওড়া থেকে এই ট্রেনে চেপে পৌঁছে যান অঙ্গুল। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন সাতকোশিয়ায়। এছাড়াও ওড়িশার কটক থেকেও যাওয়া যায় এতল্লাটে।
সাতকোশিয়ার বিভিন্ন দিকে ওড়িশা ইকো ট্যুরিজমের নেচার ক্যাম্পগুলি রয়েছে। অনলাইনে বুকিং করতে চাইলে লগ ইন করতে পারেন www.ecotourodisha.cm । এছাড়াও যোগাযোগ করতে পারেন,