Advertisment

পুলিশ নামেই পুলিশ লুঠ! ঢাল ফেসবুক! প্রতারণার অভিনব ছকে দুঁদে অফিসারদেরও চোখ কপালে!

শুধু এরাজ্যেই নয়, প্রতারণার এই নয়া কৌশলের জাল বিছিয়ে রয়েছে ভিনরাজ্যেও।

IE Bangla Web Desk এবং Joyprakash Das
New Update
One arrested for looting money by opening fake Facebook accounts in the name of top police officers

প্রতীকী ছবি।

প্রতারণার নয়া কৌশল। সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই টাকা লুটে নেওয়ার ফন্দি। লক্ষ্য শীর্ষ পুলিশ কর্তা। এমনই এক চক্রের পান্ডাকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ।
প্রথমে ডিজি র‍্যাঙ্কের অফিসারদের ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা। তারপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁদের নিচুতলার অফিসারদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে সমস্যার কথা জানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। এমন এক নয়া প্রতারণা চক্রের পান্ডাকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তাকে ৩ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ তাকে বিধান নগর মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে।

Advertisment

পুলিশ সূত্রে খবর, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের নজরে আসে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের নামে একটি ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেখান থেকে তাঁর নিচুতলার আধিকারিক ও কর্মীদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হচ্ছে। যাঁরা এই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করছেন তাঁদেরকে মেসেঞ্জারে এসএমএস করা হচ্ছে যে তিনি একটি মিটিংয়ে রয়েছেন ফোন করতে পারছেন না। তিনি একটি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তাঁর টাকার প্রয়োজন। তাড়াতাড়ি সেই টাকা যেন পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

প্রতারণার বিষয়টি নজরে আসতেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ গত ২৮ অগাস্ট একটি সুয়োমোটো কেস করে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে এই চক্রটি রাজস্থান থেকে অপারেট হচ্ছে। এরপরেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের একটি টিম রাজস্থান গিয়ে অভিযুক্ত যুবক রাহিসকে গ্রেফতার করে। তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ নিয়ে আসে। আজ তাকে বিধাননগর মহাকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- মনকে বুঝিয়েই ফেলেছেন? হাত ছাড়ছেনই কৌস্তভ? অধীরের মহুয়া-ভক্তিতে তিতিবিরক্ত যুবনেতা

জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে শুধু এই রাজ্যে নয়, বিভিন্ন রাজ্যের ডিজি র‍্যাঙ্কের অফিসারদের ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের নিচুতলার কর্মীদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হত। যাঁরা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করতেন তাঁদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা চাওয়া হতো। এইভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে এই যুবক প্রতারণা করেছে। পুলিশ মনে করছে, এই চক্রের সঙ্গে একটি বড় অপরাধ চক্র রয়েছে। সেই বিষয়ে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আরও পড়ুন- বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজনীতির ময়দানে নামাতে চরম আগ্রহী অধীর, করলেন বড় দাবি

cyber crime police Facebook West Bengal
Advertisment