Trinamool Congress MLA’s car attacked in Malda Updates:মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে ইচ্ছাকৃত ধাক্কা ও হামলার পরিকল্পনার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরে ঘাতক গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যে অভিযুক্তের মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।
মানিকচকের যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে এবং যেসব রাস্তা দিয়ে ওই ঘাতক গাড়িটি যাতায়াত করেছে, সেখানকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে এই ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ঘাতক গাড়িটিকেও। কেন শাসক বিধায়কের উপর হামলা, খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনার পর আতঙ্ক এখনো কাটেনি মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের। তিনি বলেন, "কোনও গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটালে সেই গাড়ির চালকে সাধারণত পালাতেই দেখা যায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সেটা হয় নি। গাড়িতে সামান্য ধাক্কা লাগানোর পাশাপাশি পাল্টা আমার গাড়ির পিছু ধাওয়া করে ওই ঘাতক গাড়িটি। ওই গাড়ির আলো এতটাই উজ্জ্বল ছিল যে আমার গাড়ির ভেতর থেকে বসেও মোবাইলে ছবি নেওয়া সম্ভব হয় নি"।
বিধায়ক আরও জানিয়েছে "যদিও সেই সময় আমার গাড়িতে ছিলেন দুই দেহরক্ষী,আপ্ত সহায়ক। আমি নিজে সেই সময় পুলিশ এবং দলের সংশ্লিষ্ট এলাকার কর্মী ,নেতাদের ফোনে বিষয়টি জানিয়েছি। তবে গাড়ি চালক যথেষ্ট দক্ষতার সাথে এই হামলার হাত থেকে বাঁচিয়েছে। ধরমপুরে এই ঘটনার পর গাড়ি ঘুরিয়ে মানিকচকের দিকেই ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ততক্ষণে নিয়ামতপুর এলাকায় পুলিশ চলে আসে। আমার গাড়িকে স্কট করেই ইংরেজবাজার শহরের সদরঘাট এলাকার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ"।
'বোমা ফাটিয়ে'ও ভোলবদল মদনের! '১০ কোটি দিলেই মন্ত্রী', মন্তব্যে তড়িঘড়ি ক্ষমা চাইলেন কামারহাটির বিধায়ক
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এনায়েতপুর এলাকার একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের কর্মসূচি সেরে নিজের চার চাকার গাড়ি করে মালদা ইংরেজবাজার শহরের বাড়ি ফিরছিলেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। ধরমপুরের কাছেই একটি চার চাকার গাড়ি অতর্কিতে উল্টো দিক থেকে এসে ধাক্কা মারার চেষ্টা করে। গাড়ি চালকের তৎপরতায় কোনক্রমে রক্ষা পায় বিধায়কের গাড়ি। এরপর ওই গাড়িটির ঘুরিয়ে পুনরায় সাবিত্রী দেবীর গাড়ির পিছু ধাওয়া করে। এরপরই পুলিশি তৎপরতায় হামলার মুখ থেকে বাঁচেন তৃণমূল বিধায়ক। তবে সেই সময় ওই গাড়িটি পালিয়ে যায়।
মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, "আমার ৪০ বছরের রাজনীতিতে এই ধরনের ঘটনা কোনদিনও হয় নি। আমি নিশ্চিত কোনও একটা বড় মাথার পরিকল্পনায় হয়তো আমার ওপর হামলা চালানোর ছক কথা হয়েছিল । যদিও গাড়িতে থাকা দুই নিরাপত্তারক্ষী দুষ্কৃতীদের ওই গাড়িটি ধরার ক্ষেত্রে তৎপর হয়েছিল। কিন্তু আমি ওদের গাড়ি থেকে নামতে দিই নি। ঘটনার পর রাতেই মানিকচক থানায় আমার গাড়ির ওপর হামলা এবং প্রাণে মারার চেষ্টা অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশের ওপর ভরসা রয়েছে, অবশ্যই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে"।
মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। সবদিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।