/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/Child-death.jpg)
বিসি রায় হাসপাতালে ফের শিশু মৃত্যু।
আবারও কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে শিশু মৃত্যু। সোমবার ভোরে জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি থাকা মাস আটেকের ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত ১০ দিনে এই একই উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৪২টি শিশুর মৃত্যু হল। তবে এই শিশুটিরও অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কিনা তা স্পষ্ট হয়নি। তবে এই ভাইরাস নিয়েই আতঙ্ক এখন সবচেয়ে বেশি মাত্রায় ছড়িয়েছে।
অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে একের পর এক শিশুর মৃত্যুতে উদ্বেগ বহু মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। প্রয় প্রতিদিনই জ্বর-সর্দিতে ভোগা শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। হাসপাতালের বাইরে উদ্বিগ্ন পরিজনেদের ভিড় নজর এড়াচ্ছে না। সোমবার ভোরে আরও একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম আরিয়ান খান। মাস আটেকের ওই শিশু কলকাতার আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন- দোল ভাসাবে বৃষ্টি ? কী বলছে হাওয়া অফিস? জেনে নিন লেটেস্ট আপডেট
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যজুড়ে মূলত জ্বর-সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসছে শিশু মৃত্যুর খবর। শহর থেকে জেলা, শিশুদের জ্বর-সর্দিতে ভোগার সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। এক্ষেত্রে অ্যাডিনোভাইরাসকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও একের পর এক শিশু মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণকেই একমাত্র কারণ বলে মনে করছেন না অনেক বিষেষজ্ঞই।
আরও পড়ুন- জেলের কুঠুরিই কেড়েছে ১৭ বছর, নবজন্মে ৭২-এর ‘তরুণের’ বেনজির কীর্তিকে কুর্ণিশ!
শিশুমৃত্যু ঠেকাতে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে জেলার হাসপাতালগুলিকেও। বাবা-মায়েদের শিশুদের জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যা হলে স্কুলে পাঠাতে নিষেধ করা হচ্ছে। জ্বর না নামলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে অভিভাবকদের।