দুর্গাপুরের বাসিন্দা বছর তেরোর মেয়ের ব্রেন ডেথ হয়। কিন্তু তাতে ভেঙে পড়েননি বাড়ির লোকেরা। ঠিক করেছিলেন, তার অঙ্গ দিয়েই নতুন জীবন ফিরে পাবেন আরও মানুষ। আর সেজন্যই দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে তার দেহ থেকে কিডনি, লিভার ও চোখ নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলো এসএসকেএম হাসপাতালের রোগীদের দেহে।
এর ফলে ব্যারাকপুরের বাসিন্দা ৪৪ বছর বয়সি সঞ্জিত বালা ফিরে পেতে চলেছেন নতুন জীবন। চার মাস ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থা যথেষ্টই খারাপ, লিভারের সমস্যায় ভুগছেন অনেকদিন ধরেই। খুঁজছিলেন প্রতিস্থাপনযোগ্য লিভার, অবশেষে তা মিলল। এই কারণেই মেয়েটির লিভার, কিডনি ও চোখ গ্রিন করিডর মাধ্যমে দুর্গাপুর থেকে আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেভাবেই দমদমের বছর কুড়ির অভিষেক মিশ্রর শরীরে প্রতিস্থাপিত হয় কিডনি। আর নদীয়ার ২৩ বছরের মিঠুন দালাল মধুমিতা বাইনের চোখের আলোয় জগৎ দেখবে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিনামূল্যে হৃদ প্রতিস্থাপন মেডিক্যাল কলেজে
আরও পড়ুন: পূর্ব ভারতে প্রথম হার্ট প্রতিস্থাপন কলকাতায়, গ্রিন করিডর বানিয়ে দিল পুলিশ
রবিবার বাঁকুড়া মেজিয়া থার্মাল পাওয়ারের সিআইএসএফ জওয়ানের তেরো বছরের কন্যা মধুমিতা বাইনের ব্রেন ডেথ ঘোষণা করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ। বাবা দিলীপ বাইনকে তাঁর সহকর্মীরা এমতাঅবস্থায় মেয়ের অঙ্গ দান করার কথা বোঝালে বাবা-মায়ের সম্মতিতেই দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালের চিকিৎসকরা এসএসকেএম হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপরই বেলা একটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত জাতীয় সড়কে গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল, যাতে মাত্র দু'ঘন্টায় অঙ্গগুলি নিয়ে কলকাতায় পৌঁছনো সম্ভব হয়। বর্ধমান মেডিকেলে কলেজের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্টেট অরগ্যান কমিটির প্রতিনিধি দল অঙ্গগুলি নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।