/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/04/catsformer-finance-minister-p-chidambaram-reacts-to-gst-revision-2025-09-04-10-23-11.jpg)
'জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ চিদাম্বরমের
chidambaram ON GST: জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। একদিকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এই সিদ্ধান্তকে দেশের জন্য দীপাবলি উপহার বলে আখ্যা দিয়েছেন, অন্যদিকে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস এই পদক্ষেপকে কড়া সমালোচনার মুখে ফেলেছে।
৫৬তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে ঘোষণা করা হয়েছে, ১২% এবং ২৮% কর স্ল্যাব তুলে দেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে কেবল দুটি স্ল্যাব কার্যকর হবে—৫% ও ১৮%। এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কৃষিজ সামগ্রী, স্বাস্থ্য খাত ও সাধারণ পরিবারের ব্যয় কমবে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী।
কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তাঁর কথায়, “জিএসটি যৌক্তিকীকরণ এবং বিভিন্ন পণ্যের উপর কর হ্রাস অবশ্যই ইতিবাচক, তবে এটি ৮ বছর দেরিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত। শুরু থেকেই বর্তমান কর কাঠামো কার্যকর হওয়া উচিত ছিল না। আমরা বিরোধী দলে থেকে বারবার সতর্ক করেছি, কিন্তু সরকারের কানে তা পৌঁছায়নি।”
The GST rationalisation and the reduction in rates on a range of goods and services are WELCOME but 8 years TOO LATE
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) September 3, 2025
The current design of GST and the rates prevailing until today ought not to have been introduced in the first place
We have been crying hoarse for the last 8…
চিদাম্বরম প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এখন এই সিদ্ধান্ত? তাঁর দাবি, অর্থনৈতিক মন্দা, ঋণ বৃদ্ধি, সঞ্চয় হ্রাস, আসন্ন বিহার নির্বাচন কিংবা মার্কিন শুল্ক চাপ—এসবই হয়তো সরকারকে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসও কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেছে, স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার প্রিমিয়ামে কর আরোপ করা ছিল নিষ্ঠুর ও জনবিরোধী সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করেছিলেন। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি সরকার কেবল চাপের মুখে পড়লেই অবস্থান পরিবর্তন করে। শাসকদলের স্পষ্ট সতর্কবার্তা—জনবিরোধী প্রতিটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই তারা সংসদ থেকে রাস্তায় আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, জিএসটি হারের এই বড় সংস্কার একদিকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবে, অন্যদিকে শিল্প ও ব্যবসার জন্য নতুন দিগন্ত খুলবে। তবে এর রাজনৈতিক প্রভাবও যে গভীর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।