/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/25/7ligMPzhUAvihCWMHdYH.jpg)
বদলা চেয়ে 'অ্যাকশন' শুরুর অপেক্ষায় দেশ! সন্ত্রাস দমনে এবার মোদীর 'হাতে হাত' রাহুলের
Pahalgam terror attack: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নির্মম জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এক সর্বদলীয় বৈঠকে মিলিত হন দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব। জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের প্রাণহানির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিরোধী দলগুলি সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।
পাক-সেনার হাতে আটক বাংলার জওয়ান, মুক্তি চেয়ে আজ কোন পথে BSF?
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বৈঠক শেষে বলেন, “সমস্ত রাজনৈতিক দল একযোগে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে এবং আমরা সরকারকে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি।”উল্লেখ্য, এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা ও প্রশাসনিকস্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসুক।” রাহুল গান্ধী আগামীকাল অনন্তনাগে যাবেন, দেখা করবেন হামলায় আহতদের সঙ্গে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা কেন্দ্রের পাশে রয়েছি। দেশের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। সমস্ত দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।”
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার আঁচ কলকাতায়, পাকিস্তানের পতাকা পোড়ালেন শুভেন্দুরা
উল্লেখ্য পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলায় নিহত ২৬ জন পর্যটক। নিহতদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিক এবং বাকিরা ভারতের ১৪টি রাজ্যের বাসিন্দা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিপ্তে ইতিমধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের মোদী সরকার, স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আটারি সীমান্ত। পাশাপাশি পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিল করেছে কেন্দ্র।
যদিও সরকার এখনও সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি, বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, অতীতের উরি ও পুলওয়ামা হামলার পর যেভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বিমান হামলা চালানো হয়েছিল, তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া এবারও হতে পারে। তবে সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এখনও সামরিক বিকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।