/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/09/cats-2025-10-09-11-48-02.jpg)
পাক হ্যান্ডলারদের ফাঁদে ভারতীয় সেনা! কীভাবে ভারত থেকে পাচার বেনামি সিম কার্ড?
পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের ফাঁদে ভারতীয় সেনা! নেপালি নাগরিকের মাধ্যমে পাচার হওয়া সিম ব্যবহার করে যোগাযোগ ৭৫ জন সেনার সঙ্গে।
আরও পড়ুন-উৎসবের মরশুমে সোনা ছুঁলেই ছ্যাঁকা, কতটা দামি হল হলুদ ধাতু? জানলে চমকে যাবেন
নেপালের এক নাগরিকের মাধ্যমে পাচার হওয়া সিমকার্ড ব্যবহার করে অন্তত ৭৫ জন ভারতীয় সেনা কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল পাক হ্যান্ডেলাররা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে মূলত হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে "যোগাযোগ"-এর চেষ্টা করা হয়েছিল। এই তথ্য মিলেছে নয়াদিল্লির লক্ষ্মীনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার প্রভাত কুমার চৌরাসিয়া নামে এক নেপালি নাগরিকের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ১৬টি ভারতীয় সিমকার্ডের ডেটা বিশ্লেষণে।
সূত্রের খবর, ৪৩ বছর বয়সি প্রভাত কুমার চৌরাসিয়া নেপালের বিরগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি বিহার ও মহারাষ্ট্র থেকে আধার কার্ড ব্যবহার করে একাধিক সিমকার্ড সংগ্রহ করেছিলেন, যার অধিকাংশই মহারাষ্ট্রের। পরে তিনি সেগুলি ভারতে থেকে পাচার করে কাঠমান্ডু নিয়ে যান এবং আইএসআই হ্যান্ডলারদের হাতে তুলে দেন। সেই সিমকার্ডগুলো ব্যবহার করে পাকিস্তানের লাহোর, বাহাওয়ালপুরসহ বিভিন্ন শহর থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভারতীয় সেনা, আধাসামরিক বাহিনী এবং সরকারি বিভাগের কর্মীদের প্রলোভন দেখিয়ে যোগাযোগ করা হয় বলে জানা গেছে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ডেপুটি কমিশনার অমিত কৌশিক জানান, ১৬টির মধ্যে ১১টি সিম পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হচ্ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে এক নেপালি মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে প্রভাতের যোগাযোগ হয় আইএসআই হ্যান্ডলারদের সঙ্গে। তাঁকে আমেরিকার ভিসা ও সাংবাদিকতার চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলোভন দেখানো হয়। বিনিময়ে তাঁকে ভারতীয় সিমকার্ড সরবরাহ ও ডিআরডিও এবং সেনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তিতে বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রভাত কুমার চৌরাসিয়া অতীতে ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে কাজ করতেন। ২০১৭ সালে কাঠমান্ডুতে একটি লজিস্টিক কোম্পানি শুরু করেন, পরে লোকসানের কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপরই তিনি আইএসআই-য়ের সংস্পর্শে আসেন।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিল্লিতে সিআরপিএফ-এর এক কর্মীকে গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। তদন্তে দেখা যায়, আইএসআই হ্যান্ডলার আরও ১৫টি ফোন নম্বরের মাধ্যমে ভারতীয় সেনা, আধাসামরিক বাহিনী ও সরকারি কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
আরও পড়ুন- ঘুমের মধ্যে প্রবল কম্পন!আতঙ্কে ঘরছাড়া মানুষজন, ফিরল অতীতের ভয়াবহতার স্মৃতি