Pakistan spy case: কলকাতায় পাক গুপ্তচরের জাল? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা NIA (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) বড়সড় তল্লাশি অভিযান চালাল শহরের তিন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। শনিবার সকাল থেকেই বেলগাছিয়া, খিদিরপুর ও পার্ক সার্কাসে একযোগে অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। সূত্রের খবর,পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। শুধু কলকাতাই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও এই অভিযান চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থান-সহ একাধিক রাজ্যে এই অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, একটি আন্তর্জাতিক চরচক্র কলকাতা সহ ভারতে সক্রিয়, যারা পাকিস্তানের হয়ে তথ্য পাচার করছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে অভিযানে উদ্ধার হওয়া ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই পাক গুপ্তচর সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের হাতে আসছিল। সেই সূত্র ধরেই এদিনের এই তল্লাশি অভিযান। একইসঙ্গে এক ভ্রমণ সংস্থার মালিক মহম্মদ মাসুদ আলমকে সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।
NIA সূত্রে খবর, আলিপুরে একটি দোকান, খিদিরপুরে একটি ট্রাভেল এজেন্সি এবং পার্ক সার্কাসের একটি হোটেলে চলে এদিনের তল্লাশি অভিযান। ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরেই এনআইএ-র নজরে আসেন মাসুদ আলম। এনআইএ সূত্রে দাবি, ২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল-সহ মোট তিনবার সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন হয় ওই ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে। লেনদেনগুলি মূলত Pay Point India-এর মতো থার্ড-পার্টি অ্যাপ দিয়ে করা হয়েছিল। মাসুদ আলম জানিয়েছেন, তিনি ওই লেনদেনগুলি করেছেন গ্রাহকের দেওয়া আধার কার্ড যাচাই করে এবং গ্রাহক নিজেই যেসব অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছিলেন, সেগুলিতে টাকা পাঠানো হয়।
তদন্তের স্বার্থে মাসুদ আলমের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মাসুদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “এটাই আমার জীবিকা। আমি আমার কাজ সততার সঙ্গেই করি। যাকে টাকা পাঠানো হয়েছে, তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না।” সূত্রের দাবি, ধৃত ASI মোতি রাম জাটকে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পাঁচদিন আগে দিল্লিতে বদলি করা হয়েছিল। সেই হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। একই মামলায় হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা, ১৬ মে গ্রেফতার হন। তিনি তিনবার কলকাতা এসেছিলেন বলেও এনআইএ সূত্রে জানা গেছে। এই মামলায় দিল্লি, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও অসমের মোট ১৫টি স্থানে তল্লাশি চালায় এনআইএ।