Bablu Yadav Arrested: পানাগড় কাণ্ডে ৪ দিন পর গ্রেফতার বাবলু যাদব, সাদা গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে ছিলেন এই প্রভাবশালী
Panagarh Accident Case: উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় দশ বছর আগে এসে পানাগড় বাজারের কাওয়ারি মার্কেটে এক ব্যক্তির দোকানে কাজ শুরু করেন বাবলু। সেখান থেকে পরে লোহার যন্ত্রাংশ অল্প পরিমাণে কেনাবেচার ব্যবসা শুরু করেন।
Panagarh Accident Case: উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় দশ বছর আগে এসে পানাগড় বাজারের কাওয়ারি মার্কেটে এক ব্যক্তির দোকানে কাজ শুরু করেন বাবলু। সেখান থেকে পরে লোহার যন্ত্রাংশ অল্প পরিমাণে কেনাবেচার ব্যবসা শুরু করেন।
Panagarh Accident Case News: পানাগড়ে গাড়ি উল্টে চন্দননগরের তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় শেষমেশ পুলিশের জালে সাদা গাড়ির মালিক বাবলু যাদব। জানা গিয়েছে, আসানসোলের নিঘা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাবলুকে। রবিবার রাতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী সুতন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, একটি সাদা গাড়িতে চড়ে মদ্যপ যুবকদের দল সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়কে উত্যক্ত করছিল। সুতন্দ্রাদের গাড়িকে ওই সাদা গাড়িটি ধাক্কা মারে বলেও অভিযোগ। গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয় চন্দননগরের ওই তরুণীর। সেই ঘটনার পর থেকে বাবলু যাদবের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। সাদা ওই গাড়িটির মালিক বাবলু।
Advertisment
কে এই বাবলু যাদব?
এলাকা সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় দশ বছর আগে এসে পানাগড় বাজারের কাওয়ারি মার্কেটে এক ব্যক্তির দোকানে কাজ শুরু করেন বাবলু। সেখান থেকে পরে লোহার যন্ত্রাংশ অল্প পরিমাণে কেনাবেচার ব্যবসা শুরু করেন। মূলত ছোট এবং বড় গাড়ির স্প্রিং পাতির ব্যবসা করতেন তিনি। পরে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এক বাংলাদেশের বাসিন্দা ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। পানাগড়ে কাওয়ারি মার্কেটে মূলত পুরনো গাড়ির স্পেয়ার পার্টস কেনাবেচার বিরাট এলাকা জুড়ে ব্যবসা চলে। অবৈধ গাড়ির কেনাবেচা হয়। মূলত এখানে ভিন রাজ্য থেকে বড় এবং ছোট গাড়ি কিনে এনে সেগুলিকে কাটাই করে তার সমস্ত যন্ত্রাংশ আলাদা করার পর লোহার কেজি দরে বিক্রি করা হয়। সেখান থেকেই গাড়ির স্প্রিং পাতি কিনে সেগুলি অবৈধভাবে বাংলাদেশ পাচার করত বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ীর হাত ধরে।
এই ব্যবসা শুরু করার পর মাত্র ২ বছরের মধ্যে রীতিমত ফুলেফেঁপে ওঠেন এই বাবলু যাদব। কাওয়ারি মার্কেটের মধ্যে একজন বড় ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর পরিচিতি বাড়ে। স্প্রিং পাতির ব্যবসার সঙ্গে চোরাই গাড়ি ও পুরনো গাড়ি কিনে সেগুলি বেআইনিভাবে কাটাই করে শুরু হয় আরও একটি ব্যবসা। পুলিশের নজর এড়িয়ে রমরমিয়ে চলত তাঁর ব্যবসা। গত এক বছর আগে ভিনরাজ্য থেকে একটি লরি কিনে এনে পানাগড় বাইপাসের ধারে একটি ফাঁকা জায়গায় লরিটি কাটাই করার সময় বুদবুদ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরে। বাবলু যাদবের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বুদবুদ থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় বাবলু যাদব ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা। বাজেয়াপ্ত হয় ভিন রাজ্যের একটি গাড়ির বিভিন্ন পার্টস ও লরির যন্ত্রাংশ।
চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্কার কর্মী ছিলেন। গত রবিবার গভীর রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে একটি গাড়িতে তিনি গয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তিনি। পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদে পেট্রোল পাম্পে তেল ভরার পর তাঁদের গাড়িটিকে অন্য একটি গাড়ি ধাওয়া করে বলে অভিযোগ। ওই গাড়িতে থাকা যুবকরা মদ্যপ ছিল বলে দাবি। সুতন্দ্রাকে উদ্দেশ্য করে মদ্যপ যুবকরা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছিল বলে অভিযোগ। ওই গাড়ির ধাক্কাতেই শেষমেশ সুতন্দ্রাদের গাড়িটি উল্টে পড়ে বলে জানান সুতন্দ্রাদের গাড়িচালক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুতন্দ্রাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সুতন্দ্রাদের গাড়িচালক ইভটিজিংয়ের অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ইভটিজিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতেই এবং আরও বড় কোনও বিপত্তি এড়াতেই তাঁরা গাড়ি ছুটিয়েছিলেন। যদিও পরবর্তী সময়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়, ওই রাতে ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি। শুধু তাই নয়, পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী জানান, ইভটিজিংয়ের বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। ভিকটিমের গাড়িটি অন্য গাড়িটিকে ধাওয়া করছিল বলে তাঁর দাবি।