সামনেই এরাজ্যে গ্রামপাঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে ঘর গোছাতে শুরু করেছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখা গ্রামে গ্রামে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে। শুরু করেছে 'চলো গ্রামে যাই'। গ্রামের মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনবেন তাঁরা। জনসংযোগ স্থাপন করবেন। এরইমধ্যে বাংলার ৩৭ হাজার গ্রামে যাচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাঁদের এই অভিযানের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছে পরিষদ। চলতি সপ্তাহ থেকেই তাঁরা হিতচিন্তক অভিযান শুরু করতে চলেছে।
তিন বছর অন্তর সদস্য অভিযান করে থাকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের প্রচার প্রমুখ সৌরীশ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এবার আমাদের সদস্য করার লক্ষ্যমাত্রা ৫ লক্ষ। তিন বছর আগে এই সংখ্যা ছিল দেড় লক্ষ। সারা দেশে ৩০ লক্ষ সদস্য রয়েছে ভিএইচপির, এবার টার্গেট রয়েছে ৬১ লক্ষ। এছাড়া আমরা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করব এই হিতচিন্তক অভিযানের মাধ্যমে। অভিযান চলবে ৬ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।'
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ভিএইচপির এই সদস্য অভিযানের মধ্যে বিরোধীরা রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখতে পাচ্ছে। বিরোধীদের বক্তব্য, 'গ্রামাঞ্চলে ভোটের আগে গ্রামে গ্রামে পরিষদের জনসংযোগ স্থাপন কর্মসূচিতে আদপে রাজনৈতিক ফায়দা পেতে পারে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই ভিএইচপির এই পদক্ষেপ বলে তাঁদের দাবি। তবে এই রাজনৈতিক তত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন সৌরীশ মুখোপাধ্যায়। প্রচার প্রমুখের বক্তব্য, 'এই কর্মসূচির সঙ্গে রাজনীতির বিন্দুমাত্র যোগ নেই। হিতচিন্তক অভিযান একেবারেই পূর্ব নির্ধারিত সূচি। তিন বছর অন্তর আমরা সদস্য অভিযান কর্মসূচি নিই। সদস্য অভিযানের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক স্থাপন করাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।'
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই জনসম্পর্ক কর্মসূচিতে রয়েছে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা। চিকিৎসক, শিক্ষক, হিসাবরক্ষক, আইনজীবী, খেলোয়াড়দের সঙ্গে জনসংযোগ করা। তাছাড়া অভিনেতা, অভিনেত্রী, লেখক, সেলিব্রেটিদের নিয়ে শিল্পকলা বিভাগের একটি পৃথক দল গঠন করা। জনসংযোগের ওপর ব্যাপক জোর দিচ্ছে ভিএইচপি, জানালেন সৌরীশ। এই কর্মসূচিতে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ৫০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ করার সংকল্প নিয়েছে পরিষদ। ভিএইচপি দেশে ১ লক্ষ গ্রামে ১ কোটি মানুষকে হিতচিন্তক করে তোলার লক্ষ্য স্থির করতে চাইছে।