মাত্র একবেলা। আর, তাতেই সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মোট ৭৩টি মামলার শুনানি হতে চলেছে। বিভিন্ন এজলাসে এই মামলাগুলো চলবে। যার মধ্যে ২৬টি রয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এই জনস্বার্থ মামলাগুলো রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে। মোট ৭৩টি মামলার মধ্যে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে রয়েছে ১৬টি মামলা।
আর, বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রয়েছে ২৮টি মামলা। একদিনে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ৭৩টি মামলা শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ায় বিস্মিত হাইকোর্টের আইনজীবীরাও। তাঁরা এই ঘটনাকে রীতিমতো নজিরবিহীন বলছেন। আইনজীবীদের ধারণা, ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দায়ের মামলার সংখ্যা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। তারপরও মামলার সংখ্যা কমার প্রশ্ন নেই। উলটে বাড়ছে। এই ভাবে রাজনৈতিক মামলার সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে গত সপ্তাহেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত।
সোমবারের উল্লেখযোগ্য মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের মামলাও। এর আগের শুনানিতে এই মামলায় আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, নির্দেশের ওপরই জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে যেভাবে হিংসা, অশান্তি ও কারচুপি হয়েছে, তাতে এই নির্বাচনকে বাতিল করতে হবে। এছাড়াও সোমবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের উল্লেখযোগ্য মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দায়ের করা মামলাও।
সেই মামলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছেন। পাশাপাশি, সোমবার শুনানির তালিকায় রয়েছে রাজ্যে একমাস কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আবেদনও। এর পাশাপাশি, বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের তিনটি মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলাগুলোর শুনানি হতে পারে বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে।
আরও পড়ুন- মুসলিম আর খ্রিস্টানদের ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা, ভোটের আগে দিলদরিয়া কেসিআর
পাশাপাশি, বিচারপতি সেনগুপ্তর এজলাসে বিরোধীদের প্রতি রাজ্য পুলিশের অতিসক্রিয়তা ভোট পরবর্তী হিংসা ও বিরোধীদের ওপর অত্যাচারের মামলারও শুনানি হতে পারে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে ব্যালট, ভোটবাতিল, ছাপ্পা, জয়ী প্রার্থী নিয়ে বিতর্ক, ভোটের শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাগুলো শুনতে পারেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।