সোমবার থেকেই রাজ্যজুড়ে চালু হয়ে গেল 'পাড়ায় শিক্ষালয়' কর্মসূচি। করোনাকালে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পডুয়াদের স্কুলে ক্লাস চালু হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ক্লাস বন্ধই রয়েছে। তাদের জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।
Advertisment
করোনা পরিস্থিতির জেরে প্রায় দু'বছর ধরে বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজ-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই স্কুলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস শুরু হয়েছে। ১৫-১৮ বছর বয়সীদের স্কুলেই চলছে টিকাকরণ। অন্যদিকে, খুলে গিয়েছে কলেজ-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে পঠনপাঠন।
এদিকে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের এখনও টিকাকরণ শুরু হয়নি। দিনের পর দিন স্কুলজীবন থেকে দূরে থেকে তাঁদের লেখাপড়ার ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক বিকাশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তাদের জন্যই তাই 'পাড়ায় শিক্ষালয়' উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে কচিকাঁচাদের পঠনপাঠনের বিশেষ এই উদ্যোগ। স্কুলের মাস্টারমশাই-দিদিমণিরাই পড়াশোনা করাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের।
কোথাও স্কুলের পাড়ার ফাঁকা জায়গায় পড়াশোনার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। অনেক জায়গায় আবার স্কুলের মাঠে তাঁবু খাটিয়ে বাচ্চাদের বসানোর বন্দোবস্ত হয়েছে। কোথাও স্কুল চত্বরের মধ্যে খোলা জায়গায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে এদিন থেকেই স্কুলগুলিতে ফিরেছে মিড-ডে মিলও।
সোমবার থেকে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ চালু হলেও এদিন বেলা সাড়ে ১২টার পর বন্ধ হয়ে যায় পঠনপাঠন। রবিবার প্রবাদপ্রতীম সংগীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে এদিন রাজ্যে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই এদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তলে 'পাড়ায় শিক্ষালয়' কর্মসূচি।