Parents Killed: সুপারি কিলার দিয়ে বাবা মা'কে খুনের অভিযোগ, এক কল রেকর্ডেই সব ফাঁস। মেয়ে জামাই সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা।
সম্পত্তির লোভে স্বামীর সঙ্গে পরিকল্পনা করে সুপারি কিলার দিয়ে মা-বাবাকে গুলি করে খুন। তারপর দিব্যি ভাল মানুষের অভিনয় করা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। একটি কল রেকর্ড সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিল।
খুনের তদন্ত নেমে পুলিশ প্রথমে সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কল রেকর্ডের সূত্র ধরে গ্রেফতার হয় মেয়ে-জামাইকে । প্রায় সাড়ে চার বছর মামলা চলার পর সোমবার মেয়ে জামাই ও সুপারি কিলারের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল বারাসত জেলা আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে হাবড়ার টুনিঘাটা গ্রামে নিজের বাড়িতে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় প্রাক্তন সেনাকর্মী রামকৃষ্ণ মন্ডল এবং তার স্ত্রী লীলারানির। পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে মাথায় এবং বুকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল দম্পতিকে। পুলিশি তদন্তে নেমে অজয় দাস নামে এক সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করে। তার সূত্রেই গ্রেপ্তার হয় নিহত দম্পতির ছোট জামাই বান্টি সাধু ও মেয়ে নিবেদিতা সাধু(মন্ডল)।
পুলিশি জেরায় তারা অপরাধের কথা স্বীকারও করে নেয়। বান্টির প্রায় বাজারে ৮-১০ লক্ষ টাকার দেনা হয়েছিল এবং পাওনাদারদের টাকার চাপে, শ্বশুর, শাশুড়িকে চাপ দিতে শুরু করে বান্টি। টাকা দিতে অস্বীকার করলে পরিকল্পনা করে খুন করে তারা। প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে চলা মামলায় ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছে। সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বান্টি, অজয় এবং নিবেদিতাকে দোষী সাব্যস্ত করে বারাসাত জেলা আদালত।
সোমবার তাদের যাবজ্জীবন সাজার সঙ্গে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। অনাদায়ে আরও ছমাসের জেল-হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর সঙ্গে অজয় দাসের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার কারণে তাকে আরও পাঁচ বছরের জেল ৫০০০ টাকা জরিমানায় আরো ছয় মাসের জেলের নির্দেশ দেন বারাসাত জেলা আদালতের ACJM 5th বিচারক দিপালী শ্রীবাস্তব।