হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সিবিআই দফতরে পৌঁছায়নি মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। তিনি কোথায় তা নিয়েও কোনও খোঁজ মেলেনি। এরই মাঝে সিবিআই দফতরে ই-মেইল করেছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। হাজিরা দিতে সময় চেয়েছেন তিনি। পরের কোনও এক দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিন ধার্য করার আবেদন জানিয়েছেন পরেশ অধিকারী। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মন্ত্রীর ই-মেইল করে সময় চাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন সিবিআই। এরপরই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর কন্যা অঙ্কিতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
মন্ত্রীর আইনজীবীর দাবি, কোচবিহারেই রয়েছেন পরেশ অধিকারী। বিকেল পাঁচটায় বাগডোগরা থেকে কলকাতাগামী বিমানে উঠবেন তিনি। সাড়ে ৬টা নাগাদ পৌঁছাবেন। সঙ্গে সঙ্গেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, 'বাগডোগরা, নাকি বর্ধমান থেকে কলকাতায় আসবেন মন্ত্রী?' বিচারপতির নির্দেশ, 'মন্ত্রী বিমানবন্দরে নামলে তাঁকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের প্রহরায় সোজা নিজাম প্যালেসে নিয়ে যেতে হবে। আর যদি বিমানবন্দরে না নামেন তাহলে তা আদালত অবমাননা বলে গন্য হবে।' ৪টে বাজতেই বাগডোগরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেখা যায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে।
এর আগে এ দিন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মমালায় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে ‘শেষ সুযোগ’ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বিকেল ৩টের মধ্যে মন্ত্রীকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশ মেনে মন্ত্রী হাজির না হলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী এবং তাঁর মেয়ে সিবিআই নজরে। গত পরশু রাত ৮টার মধ্যে তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই দিন কোচবিহারে ছিলেন তিনি। ওই রাতেই দেখা যায় মন্ত্রী ও তাঁর কন্যা উত্তরবঙ্গ থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে উঠেছেন। তাঁদের গন্তব্য ছিল অবশ্যই কলকাতা। কিন্তু বুধবার সকালে ট্রেন কলকাতায় পৌঁছলেও দেখা মেলেনি তাঁদের। বর্ধমান স্টেশনে তাঁদের দেখা যায়। এরপর কলকাতায় দেখা যায়নি মন্ত্রী ও তাঁর কন্যাকে।
কিন্তু, সিঙ্গলবেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলার আবেদন করেন পরেশ অধিকারী। যাদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরই আজ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যে , আজ বিকেল ৩টের মধ্যে পরেশ অধিকারীকে সিবিআই দফতরে যেতে হবে। তখনই বেকায় পড়েছেন বুঝে সিবিআই দফতরে মেইল করে সময় চান মন্ত্রী।