প্রয়োজনের তুলনায় মিলছে কম, রাজ্যজুড়ে করোনার টিকা নিয়ে হুলস্থূলকাণ্ড। তার মধ্যেই এক ব্যক্তির শরীরে দেওয়া হল টিকার তিন ডোজ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের খয়েরকাটায়। মোবাইলে গল্পে ব্যস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর আসাবধানতার জেরেই এই কাণ্ড বলে অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত ডোজ নিয়ে অসুস্থ ওই ব্যক্তি আপাতত ভর্তি মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। যদিও স্বাস্থ্যকর্মীর অসাবধানতার অভিযোগ মানতে নারাজ নাগারাকাটা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
শুক্রবার নাগরাকাটা ব্লকের খয়েরকাটা বোর্ড স্কুলে চলছিল টিকাকরণের কাজ। সেখানেই একটি, দুটি নয়। একেবারে তিন ডোজ টিকা দেওয়া হয় পরিতোষ রায়কে। এরপরই অসুস্থ বোধ করেন উত্তর ধণ্ডলাশিমলা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় মিস্ত্রি পরিতোষ। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ধূমপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে রেফার করা হয় মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন- দেশের প্রায় ৫৪% পেয়েছেন সিঙ্গল ডোজ! টিকাকরণে লাস্ট বয় বাংলা, বিহার, ইউপি
পরিতোষ রায় বলেন, "যিনি ভ্যক্সিন দিচ্ছিলেন, সেই সময় তিনি মোবাইলে গল্পে মশগুল ছিলেন। কথা বলতে বলতেই আমাকে পরপর তিনবার ভ্যাক্সিন দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী।" কেন তিনটি ডোজ দেওয়া হল? পরিতোষের এ প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি অভিযুক্ত। শুধু তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয় বলে দাবি ওই অসুস্থ ব্যক্তির।
যদিও স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাগারাকাটা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুপর্ণা কান্তি হালদার। ফোনে তিনি বলেন, "আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসেনি। এই ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য নয়। গতকাল ৪,৬২০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কোনও অভিযোগ আসেনি। তাহলে আজ কেন ভুল হবে?" এই প্রসঙ্গে জেলা মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামানিক বলেন, ''পরিতোষ রায় সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছেন। কোন ভাবেই এক ব্যক্তিকে ৩ বার ভ্যাক্সিন দেওয়া যায় না। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন