অবশেষে করোনাতঙ্ক কাটিয়ে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে রাজ্যের বোট্যানিকাল গার্ডেন ও বিনোদন পার্কগুলি। আর ২ অক্টোবর থেকে খুলে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্যগুলি। করোনার জেরে প্রায় ছ'মাস পর খুলছে পার্কগুলি। শুক্রবার একটি নির্দেশিকা জারি করে একথা জানিয়েছে রাজ্যের বন দফতর। সেইসঙ্গে পর্যটকদের জন্য গাইডলাইনও প্রকাশ করেছে। কোভিড প্রোটোকল মেনেই খুলবে সবকিছু।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর প্রভাব এখনও রয়েছে। কিন্তু দেশজুড়ে আনলকের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় এবং অর্থনৈতিক বিষয়টিকে মাথায় রেখে পর্যটকদের জন্য বন দফতরের অধীনে সমস্ত পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে ২ অক্টোবর জাতীয় উদ্যানগুলি খুললেও প্রথম ধাপে হাতি সাফারি বন্ধ থাকবে। পর্যটকদের মাস্ক পরা আবশ্যক এবং টিকিট অনলাইনেই বুকিং করতে। জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য়ে নির্ধারিত স্থান ছাড়া পর্যটকরা গাড়ি রাখতে পারবে না। এছাড়াও পর্যটকদের একটি করে আসন ছেড়ে গাড়িতে বসতে হবে।
আরও পড়ুন বেড খালি থাকলে করোনা রোগীকে ফেরাতে পারবে না হাসপাতাল, নির্দেশ হাইকোর্টের
বিনোদন পার্কগুলিতে যে কোনও জায়গায় একসঙ্গে ২০ জনের বেশি পর্যটককে থাকতে দেওয়া হবে না। পার্কের সমস্ত স্থানে দিনে দু'বার করে স্যানিটাইজ করতে হবে। বন দফতর জানিয়েছে, রাজ্যের মধ্যে আলিপুর ও দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় পর্যটকদের। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আলিপুর চিড়িয়াখানায় দৈনিক ৫,০০০ এবং দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় দৈনিক ২,০০০ পর্যটককে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে রাজ্যে ১২টি চিড়িয়াখানা রয়েছে। পার্কগুলিতে ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়াতেও খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন