বড়বাজারের পর এবার ললিত ঝা'য়ের দ্বিতীয় ভাড়াবাড়ির হদিশ মিলল। সংসদ হামলায় মূল অভিযুক্ত ললিত ঝা সম্পর্কে একাধিক নয়া তথ্য সামনে এনে দিলেন তাঁর এই বাড়িমালিক। তাঁর এই বয়ান এখন রীতিমতো চর্চায়। ললিতের আচরণ কেমন ছিল? ললিত যে এমন একটা কান্ড ঘটাতে পারেন তা আগেভাগে বুঝেছিলেন? এমনই বেশ কিছু প্রশ্নের সোজাসাপ্টা উত্তর দিলেন শেফালি সরদার নামে ওই মহিলা।
বাগুইআটির হেলা বটতলায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন ললিত ঝা ও তাঁর পরিবার। সংসদ হামলার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা'কে গতকাল রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কলকাতার বড়বাজারের পর বাগুইআটির হেলা বটতলার ভাড়াবাড়িতে উঠে গিয়েছিল ললিত ঝা'য়েরা। সংসদ হামলায় ললিতের যোগ থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বাগুইআটিতে তাৎ প্রতিবেশীরা হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন।
বাগুইআটিতে ললিতের ভাড়াবাড়ির মালিক শেফালি সরদারের কথায়, "আমার বাড়িতে ভাড়া থাকত ওরা। ১০ ডিসেম্বর ওর মা-বাবা ও ছোটা ভাইও বেড়িয়ে যায়। ললিতও ওই দিন ৩-৪ দিনের জন্য দিল্লি যাব বলে বেড়িয়েছিল। ও টিউশনি পড়াতো। ওরা আগে বড়বাজারে থাকত। মা-বাবা ও ললিতরা দুই ভাই একসঙ্গে আমার বাড়িতে ভাড়া এসেছিল। কোনও অস্বাভাবিকতা দেখিনি ললিতের মধ্যে। ও লকডাউনে এখানে সবজি পর্যন্ত বিক্রি করেছে। আজ অবধি কেউ বুঝতে পারেনি ললিত এমন একটি ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যাবে। ১০ ডিসেম্বর সকালে ললিতকে শেষবারের মতো দেখেছি।"
আরও পড়ুন- পর্যটকদের স্বার্থে যুগান্তকারী উদ্যোগ প্রশাসনের! বড়দিনের আগেই আমূল ভোলবদল দিঘার
উল্লেখ্য, সংসদ হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা'কে নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। গতকালই তাঁকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ললিতের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের 'ঘনিষ্ঠতা' নিয়ে হইচই শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তার পাল্টা জবাবও দিয়েছেন বরানগরের বিধায়ক। এদিকে বড়বাজারের পর এবার ললিতের দ্বিতীয় ভাড়াবাড়ির হদিশ মিলেছে বাগুইআটিতে। বাগুইআটির হেলা বটতলার পালপাড়ায় প্রায় তিন বছর ধরে বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন ললিত।
আরও পড়ুন- শীতের জোরালো ব্যাটিং বঙ্গে, আরও নামল রাতের পারদ, বড়দিনের আগেই কাঁপানো ঠান্ডা?
বুধবার সংসদে স্মোক ক্যান কান্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা'য়ের কলকাতা যোগ আরও স্পষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘ সময় যে ললিত কলকাতায় কাটিয়েছেন সেব্যাপারেও নিশ্চিত তদন্তকারীরা। ললিতের প্রতিবেশীদের দাবি, ১০ ডিসেম্বর ললিতের বাবা-মা ও ভাই বিহারে চলে যায়। তবে ললিত কিন্তু পালপাড়ার এই বাড়িতেই ছিল।
প্রতিবেশীদের দাবি, ললিত যাওয়ার সময় তাঁদেরকে জানিয়ে গিয়েছেন কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি ফিরে আসবেন। পেশায় শিক্ষক ললিতকে স্থানীয় বাসিন্দারা সকলে ভালো ছেলে বলেই জানেন। তবে সংসদ হামলার পর ললিতের এই বাড়িতে পুলিশ এসেছে। প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছে পুলিশ।