জামিনের আবেদন মঞ্জুর হল না। পার্থ এবং অর্পিতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল বিশেষ আদালত। দীর্ঘক্ষণ দুপক্ষের শুনানির পর রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। তার পর ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হল দুজনকে। আগামী ১৮ অগস্ট ফের আদালতে তোলা হবে দুজনকে।
শুক্রবার ইএসআই জোকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতাকে। চলছে শুনানি। প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিনের আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবী। সওয়ালে নিজের মক্কেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে 'নির্দোষ' বলে দাবি করেছেন আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত।
আদালতে কী বলেছেন পার্থর আইনজীবী?
এ দিনই শেষ হচ্ছে পার্থ ও অর্পিতার ২ দিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ। ফলে ফের 'অপা'কে আদালতে পেশ করেছে করা হয়েছে। পার্থর জামিনের পক্ষে সওয়াল করে তাঁর আইনজীবী আদালতে বলেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘুষ নিয়েছেন এমন প্রমাণ নেই। যেসব নথি উদ্ধার হয়েছে সেগুলি সব নকল। তল্লাশিতে ওনার কাছ থেকে কোনও টাকাও মেলেনি। উনি নির্দোষ একজন সাধারণ মানুষ। উনি কোথাও পালাবেনও না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রয়োজনে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার কথাও ভাবছেন।'
বর্তমানে বেহালা পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মন্ত্রী, তৃণমূলের মহাসচিব পদে থাকাকালীনই এসএসসি মামলায় টাকা তছরুপের অভিযোগে ২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। ফলে পার্থর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রভাবশালী তকমা। কিন্তু সেই তকমা যাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনি লড়াইয়ে বাধা না হতে পারে তার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন আইনজীবী অনিন্দ্য কিশোর রাউত। ফলে এদিনের সওয়ালে পার্থর পক্ষে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার কথাও ভাবছেন।
আরও পড়ুন- SSC দুর্নীতি: জেরায় কী বলেছেন ED-কে? স্পষ্ট করলেন অর্পিতা, মুখে কুলুপ পার্থর
ইডি-র তরফে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়নি। ১২ দিনের জেল হেফাজতের আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে, জেলে গিয়ে প্রয়োজন মতো ইডি গোয়েন্দারা পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে আগ্রহী।
গত সপ্তাহে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই তৃণমূলের মহাসচিব, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান, দলীয় মুখপত্রে সম্পাদক পদ থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।