ঠিক যেন নির্বাক প্রেম! ব্যাঙ্কশাল আদালতে ভার্চুয়ালি শুনানি চলাকালীন পার্থ-অর্পিতার নির্বাক প্রেমালাপে যেন বসন্তের ছোঁয়া। দুজনের ঘনিষ্ঠতা এখন আর কারও অজানা নয়। কিন্তু অপার বসন্ত মঙ্গলবার দেখল নগর দায়রা আদালতও। ভার্চুয়ালি শুনানির সময় দুই ক্যামেরার দুই প্রান্তে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে নির্বাক প্রেমালাপ নিয়ে শোরগোল।
মঙ্গলবার দুপুরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছিল। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ভার্চুয়াল শুনানিতে যোগ দেন পার্থ। আর আলিপুর মহিলা জেল থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন অর্পিতা। দুপুরে আদালতের স্ক্রিনে দেখা যায় পার্থ-অর্পিতাকে। অডিও বন্ধ ছিল। যখন কেউ কথা বলে তখন ক্যামেরার অডিও অন করা হয়। ভিডিও চালুই থাকে। সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করলেন অপা। কারও তোয়াক্কা না করে চোখের ইশারায় প্রেমালাপ করলেন দুজনে।
প্রথমে একে অপরকে দেখে মুচকি হাসেন পার্থ-অর্পিতা। ইশারায় একে অপরকে প্রশ্ন করেন কী খবর? কুশল বিনিময় হয় চোখে চোখে। এর পর পার্থ ইশারায় জানতে চান, অর্পিতা খেয়েছো তো! ঘাড় নেড়ে অর্পিতাও একই প্রশ্ন করেন। তখন দুজনেরই ঠোঁটে হাসি। অনেক দিন পর দেখা হলে যা হয়। তখনই অর্পিতা ইশারায় পার্থর কাছে জানতে চান, পার্থ কিছু শুনতে পাচ্ছেন কি না। পার্থও একই প্রশ্ন করেন। দুজনেই জানান, না।
আরও পড়ুন বাংলা থেকে দিল্লিতে তলব, টানা প্রশ্নে ‘বিস্ফোরক তথ্য’, গ্রেফতার অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি
এরপর আরও এককদম এগিয়ে পার্থ জিভ ভ্যাঙান অর্পিতারে দিকে তাকিয়ে। হেসে গড়িয়ে পড়তে পড়তে অর্পিতা আবার জানতে চান, খেয়েছেন কি না পার্থ। এবার পার্থ সেই জবাব না দিয়ে হাতের ইঙ্গিতে হার্ট সাইন দেখান। ফের হেসে গড়াগড়ি অবস্থা হয় অর্পিতার।
বেশ চলছিল এরকম। কিন্তু ৩.১২ নাগাদ পার্থর স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যায় নেট কানেকশন চলে যাওয়ার জন্য। অর্পিতা তখন অন্য স্ক্রিনে পার্থকে খোঁজার চেষ্টা করেন। তার পর আবার পার্থকে দেখা গেলে মুখে হাসি ফুটে ওঠে অর্পিতার। শেষে অর্পিতা নিজের ঠোঁটে হাত রেখে কিছু যেন চাইলেন। মনে হল চুম্বনের ইশারা! তাতে পার্থ হাল্কা রাগ দেখিয়ে মাথার উপর হাত ঘুরিয়ে ইশারায় বলেন, মাথা কি খারাপ হয়েছে?